আড়াইহাজারে জমিয়তে উলামায়ের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
Published: 9th, February 2025 GMT
দেশ স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষার্থে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আড়াইহাজার শাখা এর আয়োজন করেন। মতবনিমিয় সভায় বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আড়াইহাজার শাখার সভাপতি মাওলানা মাশরুর আহমেদ।
মাওলানা মাশরুর আহমেদ বলেন, একটা সময় ছিল আমরা আড়াইহাজারে ঢুকতে পারতাম না। এখন এই সুযোগ হয়েছে। কোন কারণে যদি দেশের পরিবেশ নস্ট হয়ে যায়। আমরা আর দাড়াতে পারবনা। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই শান্তির বানী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে সমাজে হানাহানি বিশৃংখলা কমে যাবে। দেশে স্থিতিশিলতা বজায় রাখবে। এই সময়ে প্রয়োজনীয় সাংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতিআহবান জানান। তিনি সকলকে দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আড়াইহাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মাওলানা সাদেকুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, হাইজাদী ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, ফতেহপুরের সদস্য মাওলানা আবুল কাসেম, গোপালদী পৌরসভার সহসভাপতি মাওলানা মোস্তফা, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাযহারুল ইসলাম, হাইজাদী ইউনিয়ন ছাত্র জমিয়তের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তাওহীদুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হাইজাদী ইউনিয়নের সহসভাপতি মাওলানা আহাম্মদ আলী, উপজেলা শাখার সদস্য মাওলানা ইসমাইল হোসেন, খাগকান্দা ইউনিয়নের সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক, হাইজাদী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হ ইজ দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।
সংলাপের অংশ নেওয়া সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায় হচ্ছে, যেন সুযোগকে হাতছাড়া না করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, বিশেষ করে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত রকম সম্ভাবনাকে প্রায় তিরোহিত করে দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম অংশীদার থেকেছে। সেই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া কমিশনের লক্ষ্য।
আলী রীয়াজ বলেন, সকলে মিলে আমরা একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্খার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়। আজকে আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪ শ’ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।