বড় পর্দায় ফিরছে সত্যজিৎ রায়-উত্তম কুমারের ‘নায়ক’
Published: 9th, February 2025 GMT
বরেণ্য নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবিটি অনেকেই বড় পর্দায়, কিংবা টিভিতে দেখে থাকবেন। তবে যারা এখনও দেখেননি, তারা আরও একবার এ ছবি দেখার সুযোগ পাবেন, তাও আবার বড় পর্দায়! আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আরও একবার সিনেমা হলে মুক্তি পাবে এ ছবি। ছবিটি টু-কে ভার্সনে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রথমবার ইংরেজি সাবটাইটেলসহ ছবিটি দেখানো হবে। এর ফলে ছবিটি বাঙালি সিনেপ্রেমী ছাড়াও আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।
বিখ্যাত মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর সিনেমায় তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এ আইকনিক ক্ল্যাসিকটির পুনরায় মুক্তির খবর জানিয়েছে। সিনেমা মুক্তির দিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত থাকতে পারেন উত্তমের পরিবারের সদস্যরাও। এবারের মুক্তিতে সিনেমার নিবেদক পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
সৃজিত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে ‘নায়ক’ সিনেমা আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সময় এ সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনের নানা পরিস্থিতি সামলেছি। সিনেমাটি এতবার দেখেছি যে, সংলাপ মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। সংঘাতগুলো খুব চেনা। বলতে পারেন, হৃদয়ের খুব কাছাকাছি একটা সিনেমা।”
এ সিনেমায় উত্তম কুমার হয়েছিলেন একজন সুপারস্টার, যার নাম অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। যিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিতে রওনা হন রেলগাড়িতে, কারণ বিমানের টিকিট পাননি। কামরায় পরিচয় হয় অদিতি সেনগুপ্ত নামে এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গে; যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ‘নায়ক’ ১৯৬৬ সালে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতেছিল একাধিক পুরস্কার।
‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডের’ পাশাপাশি ‘শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি ও চিত্রনাট্য’ বিভাগেও পুরস্কার জেতে। এ ছাড়া পরের বছর ভারতেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘নায়ক’। বাংলার তো বটেই, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত সত্যজিৎ-এর এ কাজ।
এ ছাড়াও এ ছবিতে ছিলেন বীরেশ্বর সেন, নির্মল ঘোষ, সৌমেন বোস, প্রেমাংশু বোস এবং সুমিতা সান্যালের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এ ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। সমালোচকরাও ছবিটিকে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন। প্রায় ছয় দশক পর এবার ফের বড়পর্দায় আসতে চলেছে সত্যজিতের নায়ক!
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা