বরেণ্য নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবিটি অনেকেই বড় পর্দায়, কিংবা টিভিতে দেখে থাকবেন। তবে যারা এখনও দেখেননি, তারা আরও একবার এ ছবি দেখার সুযোগ পাবেন, তাও আবার বড় পর্দায়! আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আরও একবার সিনেমা হলে মুক্তি পাবে এ ছবি। ছবিটি টু-কে ভার্সনে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রথমবার ইংরেজি সাবটাইটেলসহ ছবিটি দেখানো হবে। এর ফলে ছবিটি বাঙালি সিনেপ্রেমী ছাড়াও আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।

বিখ্যাত মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর সিনেমায় তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এ আইকনিক ক্ল্যাসিকটির পুনরায় মুক্তির খবর জানিয়েছে। সিনেমা মুক্তির দিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত থাকতে পারেন উত্তমের পরিবারের সদস্যরাও। এবারের মুক্তিতে সিনেমার নিবেদক পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

সৃজিত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে ‘নায়ক’ সিনেমা আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সময় এ সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনের নানা পরিস্থিতি সামলেছি। সিনেমাটি এতবার দেখেছি যে, সংলাপ মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। সংঘাতগুলো খুব চেনা। বলতে পারেন, হৃদয়ের খুব কাছাকাছি একটা সিনেমা।”

এ সিনেমায় উত্তম কুমার হয়েছিলেন একজন সুপারস্টার, যার নাম অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। যিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিতে রওনা হন রেলগাড়িতে, কারণ বিমানের টিকিট পাননি। কামরায় পরিচয় হয় অদিতি সেনগুপ্ত নামে এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গে; যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ‘নায়ক’ ১৯৬৬ সালে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতেছিল একাধিক পুরস্কার।

‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডের’ পাশাপাশি ‘শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি ও চিত্রনাট্য’ বিভাগেও পুরস্কার জেতে। এ ছাড়া পরের বছর ভারতেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘নায়ক’। বাংলার তো বটেই, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত সত্যজিৎ-এর এ কাজ। 

এ ছাড়াও এ ছবিতে ছিলেন বীরেশ্বর সেন, নির্মল ঘোষ, সৌমেন বোস, প্রেমাংশু বোস এবং সুমিতা সান্যালের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এ ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। সমালোচকরাও ছবিটিকে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন। প্রায় ছয় দশক পর এবার ফের বড়পর্দায় আসতে চলেছে সত্যজিতের নায়ক!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর দ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ