ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চাকরি ফেরত চান ৫৪৫ জন
Published: 9th, February 2025 GMT
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি থেকে চাকরিচ্যুত বিভিন্ন পদের ৫৪৫ জন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। রোববার চাকরি ফেরতের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, কোনো বিধি অনুসরণ না করে বিনা কারণে ৫৪৫ জনকে চাকরিচ্যুতের নোটিশ ধরিয়ে দেয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এটি কর্মচারীর সঙ্গে চরম অন্যায় ও অবিচারের শামিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা কষ্টে আছি। এ অবস্থায় ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় আমাদের স্ব-পদে পুনর্বহাল না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সংম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইমতিয়াজ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদীন, গাজী আবু বক্কার ফাহিম, আবু তালেব, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন শেষে ১৫ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে নারী অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই কয়েকজন নারী অভিভাবক তাঁর কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। এতে তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। একই অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামে আরেকজন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়েছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাঁকে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করি।’
মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের ভাষ্য, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।