হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ।  অভিনয়ের পাশাপাশি অকল্পনীয় বিভিন্ন স্টান্টের জন্যও বিশ্বজোড়া খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। চলতি বছরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৮ম কিস্তি ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’। যেখানে অভিনেতাকে দেখা যাবে জল, স্থল ও আকাশপথের বিভিন্ন দৃশ্যে। আসন্ন এই ছবিতে বাইপ্লেন (দুই পাখাওয়ালা বিমান) স্টান্ট করাটা তাঁর জন্য ছিল রীতিমতো এক অগ্নিপরীক্ষা।

সম্প্রতি বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেডলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। সিনেমাটির টিজার-ট্রেলারে প্রকাশ্যে আসা স্টান্টগুলোর একটিতে তাঁকে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত ত্রিশের দশকের বোয়িং স্টিয়ারম্যান বিমানের ডানায় ঝুলে আছেন!

এই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজএই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজ
দ্রুত গতির এই স্টান্ট টম ক্রুজের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেখানে তিনি প্রতি ঘন্টায় ১২০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের মুখোমুখি হয়েছেন।

অভিনেতা বলেন, ‘আপনি যখন আপনার মুখ আটকে রাখেন, ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইল বেগে যান, তখন অক্সিজেন পাওয়া যায় না।’

এ জন্য অবশ্য টম ক্রুজকে বাড়তি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তাই আমাকে কীভাবে শ্বাস নিতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। একসময় আমি শারীরিকভাবে অবচেতন হয়ে পড়েছিলাম; ককপিটেও ফিরতে পারিনি।’

নাটকীয় এই দৃশ্য যে সিনেমাটির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তের একটি হতে চলেছে, তাতে ভক্তদের অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারণ ভক্তরা টমকে এর আগেও এমন নানা দৃশ্যে দেখেছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি আগামী ২৩ মে মুক্তি পাবে। এর আগে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল (১৯৯৬)’ পরিচালনা করেছিলেন ব্রায়ান ডি পালমা। নতুন কিস্তির ট্রেলারে সেটারও ফুটেজ ব্যবহৃত হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ