বিমান থেকে স্টান্ট করতে গিয়ে ‘অবচেতন’ দশা টম ক্রুজের
Published: 10th, February 2025 GMT
হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ। অভিনয়ের পাশাপাশি অকল্পনীয় বিভিন্ন স্টান্টের জন্যও বিশ্বজোড়া খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। চলতি বছরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৮ম কিস্তি ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’। যেখানে অভিনেতাকে দেখা যাবে জল, স্থল ও আকাশপথের বিভিন্ন দৃশ্যে। আসন্ন এই ছবিতে বাইপ্লেন (দুই পাখাওয়ালা বিমান) স্টান্ট করাটা তাঁর জন্য ছিল রীতিমতো এক অগ্নিপরীক্ষা।
সম্প্রতি বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেডলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। সিনেমাটির টিজার-ট্রেলারে প্রকাশ্যে আসা স্টান্টগুলোর একটিতে তাঁকে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত ত্রিশের দশকের বোয়িং স্টিয়ারম্যান বিমানের ডানায় ঝুলে আছেন!
এই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজএই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজ
দ্রুত গতির এই স্টান্ট টম ক্রুজের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেখানে তিনি প্রতি ঘন্টায় ১২০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের মুখোমুখি হয়েছেন।
অভিনেতা বলেন, ‘আপনি যখন আপনার মুখ আটকে রাখেন, ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইল বেগে যান, তখন অক্সিজেন পাওয়া যায় না।’
এ জন্য অবশ্য টম ক্রুজকে বাড়তি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তাই আমাকে কীভাবে শ্বাস নিতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। একসময় আমি শারীরিকভাবে অবচেতন হয়ে পড়েছিলাম; ককপিটেও ফিরতে পারিনি।’
নাটকীয় এই দৃশ্য যে সিনেমাটির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তের একটি হতে চলেছে, তাতে ভক্তদের অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারণ ভক্তরা টমকে এর আগেও এমন নানা দৃশ্যে দেখেছেন।
প্রসঙ্গত, এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি আগামী ২৩ মে মুক্তি পাবে। এর আগে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল (১৯৯৬)’ পরিচালনা করেছিলেন ব্রায়ান ডি পালমা। নতুন কিস্তির ট্রেলারে সেটারও ফুটেজ ব্যবহৃত হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।