জাবিতে দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়ছেন ২৪৫ জন
Published: 10th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিনের পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়ছেন ২৪৫ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এই ইউনিটে (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১৬০ আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৬৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা অংশগ্রহণ করছেন।
এদিকে, গতকাল ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে যানজটের কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেনি অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এজন্য যানজট এড়াতে প্রয়োজনের অধিক সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম চারটি শিফটে শুধু ছাত্ররা অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউ-এর (ছেলে-মেয়ে উভয়) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ‘ডি’ ইউনিটে। ‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদে ৩১০টি আসনের বিপরীতে ৮৬ হাজার ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৪৭ হাজার ৬৯১ জন নারী শিক্ষার্থী ও ৩৯ হাজার ৬৪ জন ছেলে শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রতি আসনের জন্য প্রায় ২৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ছাত্রীদের মোট আসন সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ হাজার ৭৮২ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে প্রথমদিন উপস্থিত ছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬৮ জন ভর্তিচ্ছু। সে হিসেবে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮২ শতাংশ।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ক ষ পর ক ষ য় ইউন ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে হিন্দুপাড়ায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম বলেন, ‘প্রতিবাদের নাম করে, মাইকিং করে আন্দোলনকারী জড়ো করে গঙ্গাচড়া এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫ থেকে ১৭টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট করা হলো। এরপর আমরা দেখলাম, আক্রমণের পর ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁদের দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি রেখে নিজেদের এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এই ঘটনাগুলো ঘটছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনে, যেগুলো আমরা বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। এই ঘটনা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগজনক নয় বরং সব সাধারণ মানুষের জন্য এটা উদ্বেগপূর্ণ।’
শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম আরও বলেন, ‘এই ইন্টেরিমের আমলে আমাদের সবার প্রত্যাশা ছিল এমন একটি বাংলাদেশ হবে, যেটা ধর্মীয় সম্প্রীতির ও সামাজিক সম্প্রীতির। কিন্তু এই সরকারের আমলে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না। আমাদের দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার নামে রাজনৈতিকভাবে মব সৃষ্টি করে এ রকম ঘটনা যদি ঘটতেই থাকে, তাহলে আমাদের বলতে হয়, এ দেশে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান ঘটেছে, যেটা কোনোভাবেই ভালো দিকে যাচ্ছে না।’