নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। মৌসুমী, শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট সিনেমা।
এখন খুব বেশি অভিনয় না করলেও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওমর সানী। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও ফিল্ম ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এবার দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটের নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন এই নায়ক।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক র্নিবাচন। নির্বাচন নিয়ে ওমর সানী বলেন, “দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটের নির্বাচনে একমাত্র আমি শোবিজ অঙ্গন থেকে নির্বাচন করছি। সবার সহযোগিতা ভালোবাসা থাকবে, যারা এই ক্লাবের সম্মানিত ভোটার তাদের ভালোবাসা এবং মেন্ডেড চাই। সম্মানিত ভোটার চাইলে পরিবর্তন সম্ভব। সবার ভালোবাসা ও দোয়া চাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
অভিনয়ে নায়ক ইমনের স্ত্রী
সিনেমার বিশেষ শোতে অতিথি শতাধিক রিকশাচালক
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী বর্তমানে নিজের ব্যবসা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
১৯৯২ সালে নুর হোসেন বলাইয়ের ‘এই নিয়ে সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ওমর সানীর। ১৯৯৪ সালে দিলীপ বিশ্বাসের ‘দোলা’ চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেন। ২০০৩ সালে শাকিব খান অভিনীত ‘ওরা দালাল’ চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। খলনায়ক হিসেবেও ওমর সানী সফলতা পান।
১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট ওমর সানী জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির ফারদিন এহসান স্বাধীন নামে এক ছেলে ও ফাইজা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ওমর স ন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন