কোনো অবস্থাতেই মাংস-ডিম আমদানি নয়: উপদেষ্টা
Published: 11th, February 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “কোনো অবস্থাতেই আমরা মাংস-ডিম আমদানি করতে চাই না। এ ধরনের আমাদানির ফলে সংক্রামক রোগ দেশে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করার কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করেন। এভাবে আমদানি করলে দেশীয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।”
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চায়। আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যেন পরামর্শ গ্রহণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক করতে চাই। এ ব্যাংক হলে খামারিরা ঋণ নিলে একদিকে যেমন আমদানিনির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।”
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ অধিদপ্তরে মাধ্যমে নিহতের পরিবার ও আহতদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে ভ্যাকসিন দেওয়ার এরিয়া বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।