Prothomalo:
2025-04-30@23:56:01 GMT

এই ভূত সেই ভূত নয়

Published: 12th, February 2025 GMT

‘ইবলিশ আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য একটাই—একটা তালব্য শ, আরেকটা পেট কাটা ষ’, নুহাশ হুমায়ূনের ২ষ-এর ‘অন্তরা’ পর্বের একটি সংলাপ। এই সংলাপের প্রতিফলন দেখা যায় পুরো সিরিজেই। প্রথম মৌসুমে ভূতের ভয় দেখিয়েছেন নির্মাতা, এবার তিনি হাজির হয়েছেন ভয়ের অন্য রকম এক ব্যাখ্যা নিয়ে। চরকির এ অ্যানথোলজি সিরিজ এর মধ্যেই মনোনীত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট উৎসবে।
‘পেট কাটা ষ’-এর মতো এবার গ্রামবাংলার পুরোনো দিনের ভূতের গল্প নেই। নুহাশ নতুন গল্পগুলোতে অতিপ্রাকৃত বিষয়ের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক নানা ঘটনা; যা তৈরি করেছে অদ্ভুত এক ভয়ের মনস্তত্ত্ব। একে একে গল্পগুলোর গভীরে ঢোকার চেষ্টা করা যাক।
প্রথম গল্প ‘ওয়াক্ত’ পাঁচ বন্ধুর গল্প। আমাদের সমাজে পাপ কাজ যেন হয়ে উঠেছে বিনোদনের বিকল্প। কেউ যেন শুধু চাইলেই যেকোনো কিছু করে ফেলছে। ভাবছে না পরিণতি নিয়ে। কিন্তু পাপ কি কখনো পিছু ছাড়ে? নাকি বদলা নিতে ফিরে আসে ভয়ংকর রূপে? ‘ওয়াক্ত’ পাপের ভয়াবহ সেই পরিণতির গল্প।

‘ভাগ্য ভালো’ এক জ্যোতিষীর গল্প। টিয়া পাখি নিয়ে রাস্তায় বসে তিনি মানুষের ভাগ্যগণনা করেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে ভাইরাল হয়ে যান তিনি। আর তারপরই তাঁকে পেয়ে বসে লোভ। ভাগ্য নিয়েই জুয়া খেলতে শুরু করেন তিনি। এ গল্পে ভাগ্যের হাতবদলকে দেখানো হয় এক সুবিশাল অট্টালিকার মাধ্যমে, যেন অন্যের ভাগ্য শোষণ করতে করতেই বানানো হয়েছে এ ইমারত। আর শোষক সেই জ্যোতিষী নিজেই। ভাগ্য নিয়ে লোভের খপ্পরে পরে কী পরিণতি হয় তাঁর? এই পর্বে টিয়া পাখি বারবার জ্যোতিষীকে বলে ‘পর্দা সরাইসা না’। কিন্তু ততক্ষণে কী করা যাবে আর যাবে না, সে পর্দা সরিয়ে ফেলেছে সে।

আরও পড়ুনএবার মোশাররফ করিমের ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’০৯ জুলাই ২০২৪‘ভাগ্য ভালো’তে মোশাররফ করিম। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ