১০ দিনের রিমান্ডে নজরুল ইসলাম মজুমদার
Published: 12th, February 2025 GMT
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমন্ডি ও যাত্রাবাড়ী থানার দু’টি হত্যা মামালায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। বুধবার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের উপরে শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকালে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেতে আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।
রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। আর আবেদন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আজহারুল ইসলাম দু’টি হত্যা মামলায় নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ অক্টোবর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে করে= ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ওইদিন রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা আছে। তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এক স ম ব য ক ১০ দ ন র র ম ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।