তজুমদ্দিনে গরু চুরির অভিযোগে পিটুনি, দুই ব্যক্তি নিহত
Published: 13th, February 2025 GMT
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী পিটুনি দেওয়ায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোররাত চারটার দিকে সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাপড়ী এলাকায় এক ব্যক্তির গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামের নয়ন (৩০) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোররাত চারটার দিকে ওই এলাকায় আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তির গোয়ালঘরে ঢোকেন নয়ন ও আমির। সেখান থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দেন খালেক। এ সময় ধাওয়া দিয়ে নয়ন ও আমিরকে ধরে পিটুনি দেন এলাকাবাসী। পরে ভোর পাঁচটার দিকে তজুমদ্দিন থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য মো.
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।