গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ডিং কমিটি হলেও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়নি। ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে রাখলেও অন্য সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেননি সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিন মাসের বেশি সময় পর গতকাল ন্যাশনাল টিমস কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ১১ সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল। ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানকে। 

বাংলাদেশের ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হলো জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। কোচ নিয়োগ, ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধাসহ আরও নানা বিষয় জড়িত থাকে। সাধারণত চেয়ারম্যানসহ ফেডারেশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংখ্যা হয় ৯ জন। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১ জন। 

এই কমিটিতে অবশ্য সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন সভাপতি তাবিথ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফর্টিস গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। যাকে ফেডারেশনের নির্বাচনে সহসভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক ফুটবলার মো.

ইকবাল হোসেন, সত্যজিৎ দাস রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, সাঈদ হাছান কানন, আমের খান, সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া (শাহীন), মো. মনজুর আলম ও মুকিতুর রহমান। তবে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম বাবু জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।

সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বেচ্ছাশ্রমে চট্টগ্রামে খাল খনন করছে বিএনপি
  • গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ 
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক