৯ ব্যাংকে সিনিয়র অফিসারের পদ ১,৫৫৪, আবেদন শেষ কাল
Published: 15th, February 2025 GMT
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে ৯টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সমন্বিতভাবে জনবল নিয়োগে আবেদনের শেষ সময় আগামীকাল রোববার। এসব প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে মোট ১ হাজার ৫৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৫৫৪টি সিনিয়র অফিসারের (সাধারণ) পদের মধ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসিতে ৪২২, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসিতে ৪০০, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৪২, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১৯০, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে ১৮৯, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসিতে ২৬, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২৪, বেসিক ব্যাংক পিএলসিতে ২০, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৭, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ১৯ ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনপিএসসির নন-ক্যাডারে আবার বিশাল নিয়োগ, ৯ম, ১০ম ও ১২তম গ্রেডে পদ ১,৭২২৪ ঘণ্টা আগেএই পদের জব আইডি নম্বর ১০২২০। আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসি/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষায় ন্যূনতম দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে নির্ধারিত ছক পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনকারা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৫০৫১ ঘণ্টা আগেঅনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফি বাবদ ডাচ্–বাংলা ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘রকেট’–এর মাধ্যমে বিল পে ব্যবহার করে ২০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রকেট অ্যাপ বা ম্যানুয়াল উভয় ক্ষেত্রেই ফি প্রদানের জন্য বিলার আইডি হিসেবে Bankers Selection Committee Secretariat অথবা 499 সিলেক্ট করতে হবে। আবেদন ফির পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আরও পড়ুনপিএসসির নন-ক্যাডারে বড় নিয়োগ, পদ ১০৫১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনসমন্বিত ৮ ব্যাংকে বিশাল নিয়োগ, অফিসার নেবে ৯৯৭ জন০৯ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।