আলোচনা-সমালোচনা ইলন মাস্কের পিছু ছাড়ছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সরব উপস্থিতিসহ বড় অঙ্কের অর্থ অনুদান দিয়ে আলোচনায় আছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পও ক্ষমতায় বসার পর এই ঘনিষ্ঠ মিত্রকে নিজের পাশে রেখেছেন। দায়িত্ব পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই)। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে দফায় দফায় কর্মী ছাঁটাই করেও শিরোনাম হচ্ছেন তিনি।

এসব আলোচনা পেছনে ফেলে টেসলার সিইওকে নিয়ে নতুন যে আলোচনাটি সামনে এসেছে, তার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন মার্কিন লেখক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার। ৩১ বছর বয়সী অ্যাশলে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় বছর তিনেক আগে। আর পাঁচ মাস আগে তিনি ইলন মাস্কের সন্তানের মা হয়েছেন।

অ্যাশলে লিখেছেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমি একটি শিশুর জন্ম দিই। আর ইলন মাস্ক সেই সন্তানের বাবা।’

যদিও এই দাবির বিপরীতে ৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্কের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনইলন মাস্কের সাফল্যের ১০ সূত্র০১ এপ্রিল ২০১৮অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ