গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী ও সবজিবাহী পিকআপে থাকা অজ্ঞাত এক হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় ঢাকাগামী বাসের ধাক্কায় উল্টে যাওয়া পিকআপে থাকা হেলপারের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা নামক এলাকায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তারা মিয়া নামে এক মোটসারসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় ঢাকাগামী সবজিভর্তি একটি পিকআপ অতিরিক্ত লোডের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে উল্টে যায়। পরে উল্টে যাওয়া পিকআপকে পেছনে থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের হেলপারের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় পিকআপ রেখে পালিয়ে যান চালক।

এছাড়া রাত ৯টার দিকে ফাঁসিতলা নামক এলাকায় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক তারা মিয়ার (৩৮) মৃত্যু হয়। পেশায় অটোবাইক চালক তারা মিয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মোগলটুলি গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে।

গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ফায়ার ফাইটার আসাদুজ্জামান জানান, নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় জানা গেলেও পিকআপের হেলপারের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ন দগঞ জ এল ক য় প কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ