জিপিএইচের পরিবেশবান্ধব কারখানায় তৈরি হচ্ছে উচ্চশক্তির রড
Published: 17th, February 2025 GMT
আমদানি করা পুরোনো লোহার টুকরা বা স্ক্র্যাপ প্রথমে চুল্লির ওপর প্রি-হিটিং চেম্বারে দেওয়া হয়। চুল্লির ভেতরে সেই স্ক্র্যাপ গলানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইম, ডমোলাইট, নাইট্রোজেন, কার্বন ও অক্সিজেন দিয়ে স্ক্র্যাপ পরিশোধন চলছে। এতে নির্দিষ্ট সময় পরপর চুল্লির ওপর অপদ্রব্য জমা হয়। আর নিচে জমা হয় বিশুদ্ধ তরল ইস্পাত। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুল্লি ৪ ডিগ্রি কাত হয়ে সেসব অপদ্রব্য ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে চুল্লির ওপর প্রি-হিটিং চেম্বারে থাকা স্ক্র্যাপ ততক্ষণে ৬০০ ডিগ্রি উত্তপ্ত হয়েছে। ফলে চুল্লিতে আগের চেয়ে কম সময়ে কাঁচামাল গলানো সম্ভব। প্রাথমিক পরিশোধনের পর আবার ল্যাডেল রিফাইনিং ফার্নেসে (এলআরএফ) দ্রুততার সঙ্গে ডি-সালফারাইজেশন করার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রেড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপাদান যুক্ত করা হয়। তারপরই কন্টিনিয়াস কাস্টিং মেশিনে (সিসিএম) বিলেট উৎপাদন করা হয়। আর উত্তপ্ত বিলেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কারখানায় অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে রড আকারে বেরিয়ে আসে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জিপিএইচ ইস্পাতের কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তিতে এভাবেই রড তৈরি হয়। এশিয়ার মধ্যে প্রথম ও বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে ২০২০ সালে বাংলাদেশে এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ৬০০ গ্রেডের উচ্চশক্তির রড জিপিএইচ কোয়ান্টাম ব্র্যান্ডে বাজারজাত করছে তারা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জিপিএইচ ইস্পাতের রড ব্যবহৃত হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি কারখানাটির উৎপাদনপ্রক্রিয়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরেজমিনে দেখান প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রকৌশলী মশিউর রহমান ভূঁইয়া। মেল্টিং সেকশনে সর্বাধুনিক কোয়ান্টাম আর্ক ফার্নেসে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে বিলেট উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার, সৌরবিদ্যুৎ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে উৎপাদনে ব্যবহার, পানি ও বায়ু পরিশোধনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে কারখানাটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রকৌশলী মশিউর রহমান ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশে জিপিএইচ ইস্পাত প্রথম উচ্চশক্তির ৬০০ গ্রেড রড উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। জিপিএস কোয়ান্টামের ৬০০ গ্রেডের রডের লোডিং সক্ষমতা বেশি। এতে ৬০০ গ্রেডের রড ব্যবহার করলে ৫০০ গ্রেডের তুলনায় সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ এবং ৪২০ গ্রেডের তুলনায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ রড সাশ্রয় হয়। আর যখন রডের ব্যবহার কমে, তখন কলামের সেকশন সাইজ কমিয়ে ভবনের নকশা করলে বেশি জায়গা পাওয়া যায়। ফলে সার্বিকভাবে নির্মাণ খরচ কমে।
সীতাকুণ্ডে ১৫০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা কারখানায় জিপিএইচ ইস্পাতের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ১০ লাখ টন। জিপিএইচের কারখানায় উৎপাদিত ইস্পাত চীনেও রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) জানায়, দেশে ইস্পাত খাতে স্বয়ংক্রিয় কারখানা প্রায় ৪০টি। তার মধ্যে বড় প্রতিষ্ঠান ৪-৫টি। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরে ১ কোটি টনের বেশি রড উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। দেশে রডের বার্ষিক ব্যবহার ৬৫-৭৫ লাখ টন।
পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা
মেল্টিং সেকশনে কোয়ান্টাম আর্ক ফার্নেসে উৎপাদন চলছে। দৈত্যকার সেই চুল্লির বেশ কয়েক ফুট দূর দিয়ে যাওয়ার সময় আগুনের উত্তাপ এসে লাগল। তারপর ল্যাডেল রিফাইনিং ফার্নেস পেরিয়ে আমরা কনটিনিয়াস কাস্টিং মেশিনে বিলেট উৎপাদনের কাছাকাছি চলে এলাম। রেললাইনের ওপর দিয়ে যেভাবে রেলগাড়ি চলে, ঠিক সেভাবে একের পর এক বিলেট যাচ্ছে।
উৎপাদিত বিলেট সরাসরি রোলিং মিলে পাঠানো হয়। বিলেট উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় কিছু তাপমাত্রা হারায়। তখন রি হিটিং ফার্নেস বা ইন্ডাকশন হিটারে উত্তপ্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোলিং মেশিনে রোলিং করা শুরু হয়। একের পর এক মেশিনের ভেতরে রোল হয়ে শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট আকৃতির রড আকারে বের হয়। সেই রড কুলিং বেডে শীতল করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁধাই করা হয়। তারপর চুম্বকযুক্ত বিশাল ক্রেন দিয়ে ট্রাকে তোলা হয়। কারখানাটিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে কার্বন নিঃসরণ খুবই কম। সে জন্য কারখানার ভেতরে একবারের জন্যও অস্বস্তি হয়নি।
রড উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়। আর সীতাকুণ্ডে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর খুবই নিচে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পাশের পাহাড়ি এলাকায় বিশাল আধার বা ড্যাম গড়ে তুলেছে জিপিএইচ ইস্পাত। সেখানে ১৫ লাখ ঘনমিটার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়। এ ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ার পর নির্গত পানি পরিশোধন করে আবারও ব্যবহার করা হয়। এতে ৯০ শতাংশ পানিই আবার ব্যবহার করা হচ্ছে।
জিপিএইচ ইস্পাতে ঘণ্টায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এর বড় অংশ জাতীয় গ্রিড থেকে নেওয়া হলেও কারখানার মধ্যে গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া ৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করে জিপিএইচ রিনিউবল পাওয়ার প্ল্যান্ট। সেটি কিনে নেয় জিপিএইচ ইস্পাত। এ ছাড়া কার্বন ক্রেডিটের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান সেই বিদ্যুতের দাম দিচ্ছে মাসে ২০ লাখ ডলার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জিপিএইচের চুক্তি চার বছরের।
সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা
রডের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত। রডের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ১৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার লাগবে। এর মধ্যে ১৫ কোটি ডলার হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বাকি অর্থ কোম্পানির পুঞ্জীভূত মুনাফা বা রিটেইনড আর্নিংস থেকে জোগান দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কত উৎপাদন সক্ষমতার নতুন কারখানা করব, সেটি এখনো চূড়ান্ত করিনি। অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই বিস্তারিত পরিকল্পনায় যাব।’
জিপিএইচ কোয়ান্টামের উচ্চশক্তির রড নিয়ে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উচ্চশক্তির রড ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে পরিমাণগতভাবে রডের ব্যবহার কমানো সম্ভব। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা হবে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি হবে আরও মজবুত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৬০০ গ র ড র র ব যবহ র জ প এইচ র উৎপ দ ত প রথম র ওপর ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত বেড়ে ৫, আহত ২৯
ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে অন্তত চার জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় তিনজন নিহত হয় বলে জানায় জেরুজালেম পোস্ট। বিবিসি আরও দুইজন নিহতের খবর দেয়। এরপর আরেকজনের ফলে নতুন হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছাল।
আজ সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স ও ব্লাড ব্যাংক সংস্থাগুলো বলছে, এসব হামলায় ২৯ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানান, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী, একজন পুরুষ।
এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও সেখান আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।