ময়নমনসিংহে ৭ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা ৪২ লাখ
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ভ্রাম্যমান আদালত ময়মনসিংহে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সাতটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন । এছাড়া তিনটি ইটভাটার আংশিক ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদরের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালান পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.
তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই সদরের ওই সাতটি ইটভাটা অবৈধভাবে চলছিল। ফলে বিকেলে অভিযান চালিয়ে মোট ৪২ লাখ জরিমানাসহ তিনটি ইটভাটার আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সদরসহ জেলার অন্যান্য ইটভাটাগুলোতেও অভিযান চালানো হবে। অবৈধভাবে চলছে এমন ইটভাটায় জরিমানাসহ প্রয়োজনে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম, মো. রুকন মিয়াসহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এনজে
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।