ফেনী সদর উপজেলায় শ্রমিক বোঝাই পিকআপভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ৬ জন হলেন ভোলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো.

ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২), মাকসুদ প্রকাশ সাদ্দাম (২১), আনার উদ্দিনের ছেলে মারুফ, ভোলার মনপুরা থানার নূর হোসেনের ছেলে মনির হোসেন প্রকাশ যোবায়ের, ভোলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে চট্টগ্রাম থেকে ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর হাফিজিয়া এলাকায় পিকআপভ্যানটির চাকা পাঞ্চার হলে পিকআপটি দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান সজোরে পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে তা উল্টে যায়।

তিনি আরো বলেন, এ সময় ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ জন। পুলিশ আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে একজন মারা যান। বাকি আহতরা ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পিকআপভ্যানের আহত যাত্রী ও ভোলার মনপুরা এলাকার মো. সোহাগ বলেন, চট্টগ্রামে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে আমরা ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলাম। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত এবং বাকিরা আহত হন। আমি মাথায় ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।

ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে। তবে এর অপব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য জুলফিকার মাহমুদ।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের এক দাবির জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধির ৭–এর ঘ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা যারা ছোট সংগঠন, আমাদের তহবিল সীমিত। আমরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে দু-এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন শিথিল নীতি গ্রহণ করে।’

মুরাদ আরও বলেন, বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত রাখার জন্য যতগুলো ভোটকক্ষ থাকবে, সব কটি সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় রাখতে হবে। সবার জন্য সেই সিসিটিভি ফুটেজ উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভোট গ্রহণকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ভোটকক্ষের ভেতরে জাতীয় গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জকসুর নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার মাহমুদ বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে বিভিন্নজনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। তোমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচার–প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবে না। আর সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনা করে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ