Samakal:
2025-07-31@08:31:08 GMT

হজ ফ্লাইট শুরু ২৯ এপ্রিল

Published: 18th, February 2025 GMT

হজ ফ্লাইট শুরু ২৯ এপ্রিল

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল শুরু হবে হজ ফ্লাইট, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান।

সভায় আরও জানানো হয়, ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রীদের পরিবহন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৩ হাজার ৫৫০ জন বহন করবে। পাশাপাশি সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৩৫ শতাংশ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে। এ বছর এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় ফ্লাইট শিডিউল, বিদেশে রেজিস্ট্রেশন করা বাংলাদেশিদের হজ ফ্লাইট, প্রতিটি ফ্লাইট পরবর্তী যাত্রী সংখ্যা ও অন্যান্য তথ্য পোর্টালে আপলোড করা, হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা এবং হজযাত্রীদের পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

হজ পরিবহন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স ও একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজ হজয ত র ফ ল ইট ল ইন স

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ