কক্ষে পড়েছিল স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ, আড়ায় ঝুলছিল স্বামী
Published: 19th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ করেছে পুলিশ। স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রীকে গলায় কাপড় পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় নিজদের শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চড়দামুকদিয়া গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দম্পতির নাম মো. ফরিদুল ইসলাম (৭৪) ও রাবিয়া খাতুন (৫৫)। রাবিয়া ফরিদুলের তৃতীয় স্ত্রী।
ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে ফরিদুল ইসলাম রাজশাহীর পুটিয়া থেকে এসে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার রাবিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা কুষ্টিয়ার মিরপুরে থাকতে শুরু করেন। ২০২৩ সাল থেকে তারা ভেড়ামারার চরদামুকদিয়ায় বসবাস শুরু করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে রাবিয়ার ছোট ছেলে শরিফুল তাদের ডাকতে থাকে। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে উকি দেয়। তখন ফরিদুল ইসলামকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা স্থানীয়দের নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তারা ফরিদুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রাবিয়া খাতুনকে গলায় কাপড় পেঁচানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ভেড়ামারা থানার ওসি বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত অবস থ য় দ ল ইসল ম ফর দ ল
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।