আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে নিউ জিল্যান্ড। মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল এই ম্যাচ হারার পেছনে বড় কারণ ছিল ফর্মে থাকা ওপেনার ফখর জামানের চোটে পড়া। এই ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের চোট এতটাই গুরুতর যে তিনি আর খেলতে পারবেন এবারের আসরে। ফখরের পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হক।
ম্যাচের শুরুতেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে দুই দফায় মোট ৩০ ওভার মাঠের বাইরে ছিলেন ফখর। এ কারণে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ ছিল না তার। এরপর ৪ নাম্বারে নেমে চোট নিয়েই ৪১ বলে ২১ রান করেন তিনি। তখনই বুঝা যাচ্ছিল এই বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যানের টুর্নামেন্ট শেষ।
আরো পড়ুন:
ভারতকে হারানোর মন্ত্রে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নদের কিউই ধাক্কা
অন্যদিকে ফখরের পরিবর্তে দলে ঢোকা ইমাম এখন পর্যন্ত ৭২টি ওয়ান্ডে ম্যাচ খেলেছেন। একদিনের ক্রিকেটে এই ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে প্রায় ৪৯ গড়ে ৩১৩৮ রান। ৮৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা ইমামের ওয়ানডে সেঞ্চুরি ৯টি।
আইসিসইর কোন আসরে একজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করার জন্য আয়োজক সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেই কমিটির অনুমোদনের পরই সেই ক্রিকেটার আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াডে যোগ দিতে পারেন। এই নিয়ম মেনেই ইমাম যোগ দিচ্ছেন পাকিস্তান স্কোয়াডে।
এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টেকনিক্যাল কমিটিতে আছেন, ওয়াসিম খান (আইসিসি জেনারেল ম্যানেজার- ক্রিকেট), সারা এডগার (আইসিসি সিনিয়র ম্যানেজার- ইভেন্টস), উসমান ওয়াহলা (পিসিবি ডিরেক্টর- আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অপারেশনস), শন পোলক (স্বতন্ত্র প্রতিনিধি)।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
শামা ওবায়েদ