৯ মাস পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য পরিবহন শুরু
Published: 20th, February 2025 GMT
প্রায় ৯ মাস পর আবারো উত্তরের রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশের রাধিকাপুর বিরল স্থল সীমান্ত হয়ে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলা শুরু হলো।
গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বন্ধ হয় যাত্রীবাহী পরিবহন। তার আগে অবশ্য চাহিদা না থাকার কারণে মে মাসেই বন্ধ হয়ে যায় রাধিকাপুর বিরল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশমুখী পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল।
আরো পড়ুন:
এর চেয়েও বাজে ব্যাটিংয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা
এদিন দীর্ঘ ৯ মাস পর পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের এই সীমান্তে বুধবার দুপুরে রাধিকাপুর স্টেশন এসে পৌঁছায় ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন। কাস্টমসসহ সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে ট্রেনের যাবতীয় নিরাপত্তা জনিত বিষয় খতিয়ে দেখে রেল ও বিএসএফের কর্মকর্তারা এরপরই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে পণ্যবাহী ট্রেনটি।
রাধিকাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার সংগীত দত্ত জানান, দীর্ঘদিন পর আজ থেকে চালু হলো এই ট্রেন।
তিনি বলেন, “৪৬টি বগি নিয়ে এই ট্রেন বাংলাদেশের বিরল এ পৌঁছাবে। চিনামাটির প্লেট তৈরির ডাস্ট পাউডার নিয়ে এই ট্রেন আজ রওনা দিয়েছে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে।”
গেদে-দর্শনা, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রাধিকাপুর ও বিরল ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মোট এই তিনটি রুট ব্যবহার করেই চলে রেলপথে পণ্য আপনাদের রপ্তানি। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনের পর নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ হয়ে যায় রেলপথে আমদানি রপ্তানি। কিন্তু মাত্র তিন মাস পর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পেট্রাপোল বেনাপোল বন্দর হয়ে শুরু হয় রেলপথে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম।
ভারতীয় রেলের তথ্য বলছে, রেলপথে পণ্য আদান-প্রদান পুনরায় শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে অন্তত ৪০ হাজার টন পণ্য বাংলাদেশে গেছে।
কলকাতা/সুচরিতা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স পর র লপথ
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫