চট্টগ্রামের রাউজানে মোহাম্মদ হাসান (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে পলোয়ানপাড়া গ্রামে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত যুবলীগ কর্মী উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকার আহম্মদ হোসেন মেম্বার বাড়ির বজল আহম্মদের ছেলে। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা হাসান ছোট থেকে মামার বাড়ি নোয়াপাড়ায় বেড়ে ওঠেন। সেখানে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিলেন পরিবার নিয়ে। স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসার পাশাপাশি নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া ও ইউপি সদস্য সেকান্দরের সহযোগী ছিলেন। তাদের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পান উপজেলা যুবলীগের সদস্য পদ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় বা এলাকায় অপকর্মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। 

নিহতের স্ত্রী ঝিনু আক্তার বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এলাকা ছাড়েন হাসান। দীর্ঘ ছয় মাস পর গত সোমবার রাতে বাড়িতে আসেন। সন্ত্রাসীরা খবর পেয়ে খাটের নিচে থেকে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে পার্শ্ববর্তী পলোয়ানপাড়া গ্রামে ফেলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের পরিবার এখনও থানায় মামলা করেনি। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরাস্থ আদ্যাপীঠ মন্দিরের সামনে এলোপাতাড়ি গুলি করে রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাবুকে। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিনে কনকচাঁপার আবেগভরা শ্রদ্ধা

বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে এক অনন্য নাম এন্ড্রু কিশোর। পেশাদার জীবনে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি গানে—এর মধ্যে অসংখ্য গান আজও কালজয়ী। এ জন্য শ্রোতারা ভালোবেসে তাঁকে ডেকেছেন ‘প্লেব্যাক–সম্রাট’ বলে। চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোরের অন্যতম সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা কনকচাঁপা। তাঁরা জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অগণিত জনপ্রিয় গান। আজ মঙ্গলবার, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে ফেসবুকে এক আবেগমাখা পোস্টে তাঁকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা।

কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত, আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি, কারণ তিনি এখনো আমাদের জীবনের অংশ—আরও বেশি আপন ও প্রয়োজনীয়।’ ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা আরও লেখেন, ‘একজন এন্ড্রু কিশোর—একটি কণ্ঠ, একটি গলিত সোনার নদী। সিনেমা হলে তাঁর গান বাজলেই পুরো হল ভরে যেত আবেগে। তাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু—যা মানুষকে ভাসাতে, কাঁদাতে, ভালোবাসতে শেখাত। যখন গাইতেন “ডাক দিয়াছে দয়াল আমারে”, তখন মনে হতো—এই পৃথিবীর প্রতি আমাদের অভিমান যেন একসঙ্গে ঝরে পড়ছে। আর যখন গাইতেন “তুমি আমার জীবন”, তখন প্রতিটি মানুষ ভাবত, এভাবেই তো প্রিয়াকে বলতে চেয়েছি আমি!’

এন্ড্রু কিশোর ও কনকচাঁপা

সম্পর্কিত নিবন্ধ