আমরা কেবল অংশ নিতে আসিনি, শিরোপা জিততে চাই: শাহিদি
Published: 20th, February 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের। এবারই তারা প্রথমবার অংশ নিচ্ছে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টে। অবশ্য এর আগে তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করেছে। আর সেখানে নিজেদের প্রমাণ করেই তারা সেরা আটের মধ্যে থেকে জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
প্রথমবার অংশ নিতে আসা আফগানিস্তান অবশ্য মাঠে নামার আগেই হুংকার দিয়ে রেখেছে। তাদের অধিনায়ক হাশতউল্লাহ শাহিদি জানিয়েছেন, তারা কেবল অংশ নিতে আসেননি, শিরোপাও জিততে চান।
‘‘আমরা খুব ভালো করছি। এবং এই টুর্নামেন্টে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি, লড়াই করতে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ফাইনাল জেতা। আমরা কেবল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আসিনি। আমরা একশো ভাগ এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে এসেছি।’’
আরো পড়ুন:
শান্ত জানালেন যেসব কারণে হেরেছে বাংলাদেশ
তাওহীদ-জাকেরের লড়াই ছাপিয়ে গিলের সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়
কেন তারা শিরোপার দাবিদার সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন আফগান অধিনায়ক, ‘‘কারণ, গেল দুই বছর আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সেই হিসেবে এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। ছেলেরা এখন অনেক অভিজ্ঞ। এছাড়া এখানকার কন্ডিশনও আমাদের জন্য সুবিধাজনক। সুতরাং আমাদের অনেক ভালো সুযোগ রয়েছে শিরোপা জেতার। আর আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার) জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই। আর সেই একই মোমেন্টাম পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধরে রাখতে চাই।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই ট র ন ম ন ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল