ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও আর্মি গলফ ক্লাবের আয়োজনে আগামী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৫।’ দেশি ও বিদেশি ৮ শতাধিক অ্যামেচার গলফারের অংশগ্রহণে চারদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ২৮ ফেব্রুয়ারি সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আর্মি গলফ ক্লাবের ক্লাব হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডভাইজার (স্পোর্টস) এফ.

এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন ও আর্মি গলফ ক্লাবের কেডি মাস্টার মো. সোরাব হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যামেচার গলফারদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট পাঁচটি ক্যাটাগোরিতে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগোরিগুলো হলো- লেডিস, জুনিয়র, ভ্যাটার্ন, রেগুলার ও সিনিয়র। টুর্নামেন্টে ৮৫০ খেলোয়াড় অংশ নিতে যাচ্ছেন। যার মধ্যে বিদেশিরাও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ

মাস্কটে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স
গঙ্গার পানি, সার্কসহ দ্বিপক্ষীয় উদ্বেগ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি বৈঠক

সংবাদ সম্মেলনে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘‘গেল আট-নয় বছর ধরে আমরা ওয়ালটন পরিবার গলফের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। প্রায় সব গলফ ক্লাবের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি বিভিন্ন গলফ ক্লাবে যতোবেশি অ্যামেচার টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে ততোবেশি পেশাদার গলফার তৈরির সম্ভাবনা বাড়বে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণও বাড়বে।’’

অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ‘‘অত্যন্ত নির্মল ও সুন্দর পরিবেশে গলফ খেলাটা খেলা হয়। সবুজের এমন অভয়ারণ্যে আসলে মন ভালো হয়ে যায়। ওয়ালটন পরিবার দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গলফ নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে অ্যামেচার গলফারদের নিয়ে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এসব অ্যামেচার গলফারদের মধ্য থেকেই একদিন দেশসেরা গলফার উঠে আসবে। তৈরি হবে বিশ্বমানের পেশাদার গলফার।’’

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ম চ র গলফ র গলফ ক ল ব র

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ