ভাষা দিবসে এক্স-ক্যাডেট এসো: নারায়ণগঞ্জ ইউনিটির শ্রদ্ধাঞ্জলী
Published: 22nd, February 2025 GMT
২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেটস্ এসোসিয়েশন, নারায়ণগঞ্জ ইউনিট ৫২'র ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
সংগঠনের সভাপতি এক্স ক্যাডেট আন্ডার অফিসার ফারুক আহম্মদ রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এক্স সিইউও মোঃ শাহেদুল হক সুমনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে চাষাড়া মাধবীলতা প্লাজার সামনে থেকে র্যালি শুরু করে বিবি রোড প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌছায়। পরবর্তীতে শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব,সদ্য ঘোষিত নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি ফারুক আহম্মদ রিপন ,
সাধারণ সম্পাদক মো : শাহেদুল হক সুমন , সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভুইয়া , যুগ্ন সম্পাদক আসাদুল্লাহ মিনার ,
যুগ্ন সম্পাদক নুরে আলম , সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মুকুল , অর্থ সম্পাদক আবদুল হামিদ ভাসানী , সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আল আমিন শিবলী , ক্রীড়া সম্পাদক কাজী শুভ , আপ্যায়ন সম্পাদক অপু হাওলাদার। এ ছাড়াও আরে উপস্থিত ছিলেন সদস্য আলিম খন্দকার , সদস্য মো : শাওন আহাম্মেদ , সদস্য জুয়েল হোসেন এবং ক্যাডেট পরিবারের সদস্যগন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় আগামী ১ আগষ্ট। দীর্ঘ ২৪ বছর পরে অবশেষে আলোচিত এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে যাচ্ছে।
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাসসহ ২০ জন।
নৃশংস এ বোমা হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এক যুগ পরে ২০১৩ সালে ৬জনকে অভিযুক্ত ও ৩১জনকে অব্যাহতি প্রদান করে চার্জশীটটি দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
অভিযুক্ত ৬জন হলেন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান (ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর), জঙ্গী নেতা ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।
দু’টি মামলায় ১৩৮ জনকে সাক্ষী করা হলেও গত ১২ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও চলেছে অনেক ঢিমেতালে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাব ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতিতে হওয়ায় নিহত ও আহতদের স্বজনরাও ছিলেন চরম হতাশ।
মামলাটির বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, বিগত সরকারের আমলে মামলাটির বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল।
আলোচিত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। আশা করছি আগামী ১ আগস্ট মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন আদালত।