বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ড. ইউনূস সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চাইছে না। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে দিনের পর দিন সরকারে থাকায় প্রমাণ হচ্ছে এই সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভূত ঢুকেছে। তারেক রহমান যাতে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সাবধান করে দিতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। তারেক রহমান এই দেশে বীরের বেশে আসবেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হবেন।

শনিবার বিকেলে চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া খেলার মাঠে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক পথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকবেন জবাবদিহি কোথায়? এসব বাদ দিয়ে যার কাজ তাকে করতে দেন। অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করুন। সংস্কার কমিটিতে থাকা ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন, আপনারা গাড়িটাড়ি চেপে যথেষ্ট আরাম আয়েশেই আছেন। আর সংস্কার লাগবে না, অনেক হয়েছে। তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কারে মনোযোগ দিলেই সব সমস্যার সমাধান ও সংস্কার সম্পন্ন হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি কুমিল্লা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি। আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসেম, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ তৌফিক আহম্মেদ মীর, আব্বাস উদ্দিন কমান্ডার, আতিকুল আলম শাওন ও মো.

মহিউদ্দিন।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা