অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্না সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের রয়েছে তাঁর পরিচিতি। এবার তিনি হাজির হয়েছেন নতুন পরিচয়ে। রেস্তোরা ব্যবসায় নেমেছেন এই অভিনেত্রী। রেস্তোরার নাম দিয়েছেন ‘নিবলস’। খবর এই সময়ের।
যারা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে চেনেন, জানেন তিনি যত্ন করে সবাইকে খাওয়াতে কতটা ভালোবাসেন। তাঁর বাড়িতে গেলে না খাইয়ে ছাড়েন না কখনও। তাঁর এই খাওয়ানোর প্যাশনই এ বার অন্য ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। শরৎ বোস রোডে একটি রেস্তোরাঁ কিনেছেন নায়িকা।
ঋতুপর্ণার ভাষায় , ‘‘ ‘নিবলস’ মানে কী সবাই জানেন। আমিও ছোট-ছোট পদক্ষেপ দিয়ে বড় হতে চাই। আমি হেলদি খাবার রেখেছি মেনুতে। কোল্ড প্রেস জুস, স্টিমড-বেকড ডিশ পাবেন এখানে। পুরো মেনুটাই পকেট ফ্রেন্ডলি। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে বিশেষ কিছু মুহূর্ত কাটাতে চাইলে এখানে আসতে পারেন। অবশ্যই খাবার কেমন লাগল জানাবেন আমাদের।’
তবে এই রেস্তোরাঁ কেনার পিছনে অন্য একটি বিষয়ও কাজ করেছে। তিনি যোগ করেন, ‘আমার খুব ইমোশনাল জায়গা ‘নিবলস’। এটা আমার স্কুল-কলেজের খুব কাছের এক বন্ধুর রেস্তোরাঁ ছিল। সে এই সুন্দর জিনিসটা শুরু করেছিল। আমার জন্য এখান থেকে প্রায়ই খাবার পাঠাত। আমাদের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের রি-ইউনিয়নের অনুষ্ঠানের রিহার্সালের সময়ে ও এখান থেকে আমাদের জন্য খাবার নিয়ে যেত।
এখানকার কোল্ড প্রেস জুস খুব ভালো লাগত। বাড়িতে খাবার নিয়ে গিয়ে আমার হেল্পিং হ্যান্ডকে বলত, ‘ভালো করে রেখে দাও। দিদিকে পরে দেবে।’ কিন্তু ২০২৪-এর শুরুতে ও আমাদের ছেড়ে চলে যায়। আমার দুই প্রিয় মানুষ, অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার আর আমার বন্ধু অনিন্দিতা একদিনে আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তার হাজ়ব্যান্ডের এই জায়গাটা নিয়ে আর কিছু করার ইচ্ছে ছিল না। আমার মনে হলো, এই কোজ়ি জায়গাটা যদি নিজেদের কাছেই রাখি, তা হলে এর মাধ্যমেই ও আমাদের কাছে থেকে যাবে। সেই থেকে এই উদ্যোগ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীন সব সময় পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, আসন্ন নির্বাচন, চীন–বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মজিবুর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে বিস্তারিত আলোচনা শেষ হয়েছে এবং এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে। গণভোট ও নির্বাচন বিষয়ে শিগগিরই ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ঝাং জিং ও কর্মকর্তা লিউ হংরু উপস্থিত ছিলেন।