মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন
Published: 11th, December 2025 GMT
আগামী অর্থবছরের জন্য ৯০ হাজার ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার এ বিল পাস হয়।
বিলটি পাস হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। ৩১২ জন আইনপ্রণেতা জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইন (এনডিএএ) পাসের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ১১২ জন। বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে এবং আগামী সপ্তাহে সেখানে বিলটি পাস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিলের জন্য একটি প্রস্তাব করেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদ বিলে তার চেয়ে ৮০০ কোটি ডলার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।
গত রোববার ৩ হাজার ৮৬ পৃষ্ঠার ব্যাপক আকারের বিলটি প্রকাশিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সামর্থ্য বাড়ানোর মতো এনডিএএ ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এতে মার্কিন সেনাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আবাসনব্যবস্থার উন্নয়ন।
আইনপ্রণেতারা বিলে কয়েকটি ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আগামী দুই বছর ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলার করে সামরিক সহায়তা প্রদানসহ রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ওয়াশিংটনের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির সুদৃঢ় ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত পেন্টাগনকে ইউরোপে কমপক্ষে ৭৬ হাজার সেনা ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম মোতায়েন রাখার কথা বলা হয়েছে বিলে।
ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি–সংক্রান্ত উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন–সম্পর্কিত প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাঞ্জাবের আইনসভায় ইমরান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
দেশটির বর্তমান শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন)–এর সঙ্গে পিটিআইয়ের চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এমন একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত আসার কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নাম উল্লেখ না করে ইমরান খানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, তিনি (ইমরান) সেনাবাহিনীবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেনাবাহিনীবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য এখন আর রাজনীতির পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’
তার পর থেকে পিএমএল-এন ও পিটিআই নেতাদের মধ্যে কথার লড়াই চলছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ইমরান খান অতীতে কঠিন ভাষায় বিরোধী রাজনীতিকদের সমালোচনা করেছেন। তাই সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলার কোনো অধিকার তাঁর নেই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আইএসপিআরের মহাপরিচালকের মন্তব্যকে পিটিআই ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করে কঠোরভাবে এর নিন্দা জানিয়েছে। পিটিআই জোর দিয়ে বলেছে, ইমরান খান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নন।
পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন উপস্থিত ছিলেন না।পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় মঙ্গলবার পিএমএল-এন আইনপ্রণেতা তাহির পারভেজ পিটিআইন নেতা ইমরান খান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি আনেন। প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁরা অধিবেশন বর্জন করেন।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী