ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে আরো বেশি লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ায় মিয়ানমারে আগামী বছর ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র অনাহারের মুখোমুখি হবে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জরুরি পর্যায়ের ক্ষুধার মুখোমুখি হবে, যার অর্থ তাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার প্রয়োজন হবে।

মিয়ানমারে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ডানফোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সংঘাত ও বঞ্চনা মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক উপায় কেড়ে নেওয়ার জন্য একত্রিত হচ্ছে, তবুও বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে না। এটি গ্রহের সবচেয়ে খারাপ ক্ষুধা সংকটগুলোর মধ্যে একটি এবং সবচেয়ে কম তহবিলপ্রাপ্তদের মধ্যে একটি।”

মিয়ানমারের শাসক জান্তার একজন মুখপাত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে বিক্ষোভ দমন করার পর থেকে মিয়ানমার সংকটে রয়েছে। জান্তাকে হটাতে দেশব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা চার লাখেরও বেশি শিশু ও মা সাধারণ ভাত বা ডাল খেয়ে বেঁচে আছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য-নিরাপত্তা গবেষকদের আটক করেছে এবং ত্রাণকর্মীদের লাখ লাখ মানুষ অনাহারে থাকার তথ্য প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ল স্বর্ণের দাম, শুক্রবার থেকে কার্যকর

টানা দুই দফা বাড়ার পর এক দফা কমেছিল স্বর্ণের দাম। তবে দেশের বাজারে আবারও মূল্যবান এই ধাতুর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।

আরো পড়ুন:

হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা

এলপিজির দাম বাড়ল

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরো জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৭ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ