দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। এ দফায় প্রতি ভরির দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার টাকা। কাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে নতুন এ দর কার্যকর হবে।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বৃহস্পতিবার রাতে সোনার দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেয়। এর আগে সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর সোনার দাম কমেছিল।
জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (খাঁটি সোনা) মূল্য বেড়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। মূলত বৈশ্বিক বাজারে সোনার মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশেও বাড়ানো হয়েছে। যদিও বৈধভাবে সোনা আমদানি খুবই কম। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে সোনা আসে। কয়েক মাস ধরেই সোনার দাম উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দেশে সোনার দাম বেড়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় দাঁড়ায়, যা এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে সর্বোচ্চ।
কাল থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিতে দাম ১ হাজার ৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ৮৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়বে ৭৩৫ টাকা। এর ফলে কাল শুক্রবার থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকায় বিক্রি হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের সোনা ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলমের ১ হাজার ৯৩৬ একর জমি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তাঁর পরিবারের সদস্য ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ১ হাজার ৯৩৬ দশমিক ৫০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৩ টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক তানসিন মুনাবিল হক জব্দের আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলম, তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে–বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে তাঁরা নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরে টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হবে। তাই এস আলম, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে জব্দ করা প্রয়োজন।