আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর রাতে টিএসসি চত্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মিছিল বের করেন তাঁরা।

সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

টিএসসি থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদলের মিছিলটি ভিসি চত্বর ও হলপাড়া হয়ে আবার টিএসসিতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ‘তারেক রহমানের সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’সহ নানা স্লোগান দেন।

পরে টিএসসির ডাস চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘বিগত চারটি নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছিল। আমরা ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন দেখেছি, ২০১৮ সালে রাতের ভোট দেখেছি এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন দেখেছি। বিগত সময়ে আমরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি। এবার ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে আবার ভোট দেওয়ার সুযোগ এসেছে। আমরা যোগ্য প্রার্থী ও মার্কা দেখে ভোট দেব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ভুঁইয়া ইমনসহ অনেকে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ট এসস

এছাড়াও পড়ুন:

মাহফুজ ও আসিফের বিরুদ্ধে মিছিল, নেতৃত্বে এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ঢাকার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এই বিক্ষোভ হয়। মিছিলের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল ‘তৃণমূল এনসিপি’। এর আগে বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে ‘তৃণমূল এনসিপি’ গঠনের ঘোষণা দেন মুনতাসির মাহমুদ।

মিছিলের পর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সেখানে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, দুজন ছাত্র উপদেষ্টা (মাহফুজ ও আসিফ) জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সরকারে গেলেও তাঁরা জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি রাখেননি। তাঁরা ‘সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি’ করেছেন। তাই সুনির্দিষ্ট দাবি হলো, তাঁরা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যত নিয়োগ হয়েছে, যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যেসব টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে কারা কাজ পেয়েছেন, কিসের বিনিময়ে পেয়েছেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।

মুনতাসির আরও বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে বলেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম জানে, দুর্নীতির টাকা কেউ অ্যাকাউন্টে রাখে না। এই টাকা তাঁরা কোথায় পাচার করেছেন, নাকি বিটকয়েনে রেখেছেন, সেটা দুদককে তদন্ত করে বের করতে হবে।

প্রসঙ্গত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মুনতাসির মাহমুদ রেড ক্রিসেন্টে উপপরিচালক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। আর উপদেষ্টা মাহফুজের ভাই মাহবুব আলম রেড ক্রিসেন্টের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রেড ক্রিসেন্টে মুনতাসির মাহমুদের চাকরিটি ছিল অস্থায়ী। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েক দিন ধরে রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাজধানীর মগবাজারে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছিলেন মুনতাসির।

আরও পড়ুনবিদায়ী দুই উপদেষ্টা সরকারে থেকে কেমন করলেন৯ ঘণ্টা আগে

এনসিপির পক্ষ থেকে নিষেধ করার পরও গত ১২ অক্টোবর লোকজন নিয়ে মুনতাসির সেখানে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন রেড ক্রিসেন্টের বোর্ড সভায় তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। বোর্ড সভায় উপদেষ্টার ভাই মাহবুব আলমও ছিলেন। সভার পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে বের হতে গেলে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন মুনতাসির মাহমুদের অনুসারীরা।

সেদিনই মুনতাসিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি ফেসবুকে প্রকাশ করে এনসিপি। এর পর থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে বিভিন্ন অভিযোগ করছিলেন মুনতাসির। সম্প্রতি এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বিরুদ্ধেও তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফেসবুকে।

আরও পড়ুনমাহফুজ ও আসিফ কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন নাকি কোনো দলে যাচ্ছেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ