নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রেমের গুঞ্জন বহু পুরোনো। যদিও তা কখনো স্বীকার করেননি এই যুগল। সর্বশেষ গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তারা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহজাবীন চৌধুরী তার ফেসবুকে বেশ কিছু বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি প্রেম ও বিয়ের গল্প সংক্ষেপে জানিয়েছেন ‘বড় ছেলে’খ্যাত এই অভিনেত্রী।  

শুরুতে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “২০১২ সালের ৯ এপ্রিল, আঁকাবাঁকা দাঁত আর সুন্দর হাসিওয়ালা একটা ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। আমি তখন একটি শুটিং হাউজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন সে রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নাড়ে। আমরা মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলেছিলাম, করমর্দন করেছিলাম। তারপর সে চলে যায়। আর যাওয়ার সময়ে আমার হৃদয়ের একটা টুকরো তার সঙ্গে চলে যায়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারলাম—এটাই ছিল।”

আরো পড়ুন:

আজ মেহজাবীন-রাজীবের গায়েহলুদ

মেহজাবীনের বিয়ে: আদনান আল রাজীবকে কতটা জানেন?

“১৩ বছর পর, আজ আমরা এখানে, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি। তারা বলেন, সাত বছরের বন্ধুত্ব সারাজীবন স্থায়ী হয়— আমরা প্রায় দ্বিগুণ অতিক্রম করেছি।” বলেন মেহজাবীন চৌধুরী।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, আমরা আমাদের বন্ধনে চিরতরে সিলমোহর দিয়েছি। এই যাত্রায় হাতে হাত রেখে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে সারা জীবনের সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিলাম।”

নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “আমরা যেন সারাজীবন আনন্দের সঙ্গে একত্রে কাটাতে পারি, নতুন অধ্যায় শুরু করে আপনাদের কাছে সেই প্রার্থনা কামনা করছি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক ম হজ ব ন চ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ