প্রেম-বিয়ের গল্প বললেন মেহজাবীন
Published: 24th, February 2025 GMT
নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রেমের গুঞ্জন বহু পুরোনো। যদিও তা কখনো স্বীকার করেননি এই যুগল। সর্বশেষ গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহজাবীন চৌধুরী তার ফেসবুকে বেশ কিছু বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি প্রেম ও বিয়ের গল্প সংক্ষেপে জানিয়েছেন ‘বড় ছেলে’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
শুরুতে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “২০১২ সালের ৯ এপ্রিল, আঁকাবাঁকা দাঁত আর সুন্দর হাসিওয়ালা একটা ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। আমি তখন একটি শুটিং হাউজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন সে রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নাড়ে। আমরা মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলেছিলাম, করমর্দন করেছিলাম। তারপর সে চলে যায়। আর যাওয়ার সময়ে আমার হৃদয়ের একটা টুকরো তার সঙ্গে চলে যায়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারলাম—এটাই ছিল।”
আরো পড়ুন:
আজ মেহজাবীন-রাজীবের গায়েহলুদ
মেহজাবীনের বিয়ে: আদনান আল রাজীবকে কতটা জানেন?
“১৩ বছর পর, আজ আমরা এখানে, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি। তারা বলেন, সাত বছরের বন্ধুত্ব সারাজীবন স্থায়ী হয়— আমরা প্রায় দ্বিগুণ অতিক্রম করেছি।” বলেন মেহজাবীন চৌধুরী।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, আমরা আমাদের বন্ধনে চিরতরে সিলমোহর দিয়েছি। এই যাত্রায় হাতে হাত রেখে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে সারা জীবনের সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিলাম।”
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “আমরা যেন সারাজীবন আনন্দের সঙ্গে একত্রে কাটাতে পারি, নতুন অধ্যায় শুরু করে আপনাদের কাছে সেই প্রার্থনা কামনা করছি।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক ম হজ ব ন চ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।