স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন— ‘না মরেও জানাজার সওয়ার পেয়েছি’
Published: 24th, February 2025 GMT
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শুধু পদত্যাগ নয়, বরং কিছু লোক কুশপুত্তলিকা দাহ, জানাজা ও দাফন করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এতে জীবিত থাকা অবস্থায় জানাজার সওয়াব পেয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনি তো শুধু বললেন পদত্যাগ। আমার তো কুশপুতুল দাহ হয়েছে, দাফন হয়ে গেছে। পদত্যাগ চাওয়া তো কম হয়েছে। আমার তো জানাজাও হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি করার পর, জীবিত থাকা অবস্থায় জানাজার সওয়াব পেয়েছি।’’
পরিস্থিতি যদি ভালোই হতো তবে রাত ৩টা বাজে কেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্রিফিং করতে হল— এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘আগের সিস্টেমে হলে রাত আড়াইটায় কিন্তু আপনাদের কাউকে খুঁজেও পেতাম না। আমি আধ ঘণ্টা আগে আপনাদের বলেছি, আপনারা সবাই গিয়ে হাজির হয়েছেন। আমরা জানি, দিনরাত আপনারা কাজ করে যাচ্ছেন। এটা আপনাদের বোঝানোর জন্য যে, আমরাও দিনে-রাতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শুধু দিনে ব্রিফ করেন না, দরকার হলে তিনি রাতেও ব্রিফ করেন।’’
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।