চট্টগ্রাম বন অঞ্চলের ১০টি বন বিভাগের ৭৭ জন বনকর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলী এবং এসব বদলীর বিপরীতে অন্তত ১০ কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধানে ফেঁসে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম। 

দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এই বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বদলী পদায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল জব্দ করেছে। পাশাপাশি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলী হয়েছেন এবং বিভিন্ন লোভনীয় পোস্টিং পেয়েছেন তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।

জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক হিসেবে বদলী হন মোল্যা রেজাউল করিম। চট্টগ্রামে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি এক অফিস আদেশে তার অধীনস্থ ১০টি বন বিভাগের অন্তত ৭৭ জন বনকর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্নস্থানে বদলী ও পদায়ন করেন। 

অভিযোগ রয়েছে, একাধিক বন কর্মকর্তাকে লোভনীয় পোস্টিং দেওয়ার বিনিময়ে বন সংরক্ষক অন্তত ১০ কোটি টাকার বদলী বাণিজ্য করেছেন।

দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো। বদলী বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ যাছাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে দুদকের আভিযানিক টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।”

সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান বলেন, “আমরা বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমকে প্রায় তিন ঘণ্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার কাছ থেকে সম্প্রতি বদলী পদায়নের বিভিন্ন ফাইল নথিপত্র জব্দ করেছি। আরও কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, সেগুলো আজ বা কাল পাওয়া যাবে। সবকিছু যাছাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” 

দুদক কর্মকর্তারা জানান, মোল্যা রেজাউল করিম যোগদান করার পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলী পদায়ন করা হয়েছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।

অভিযোগ ও দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, “বন বিভাগের নীতিমালা অনুসরণ করেই সবগুলো বদলী পদায়ন হয়েছে। বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ সত্যি নয়। দুদকের পক্ষ থেকে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। 

রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও  +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ