ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাভলির বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। ভুয়া নথি পেশ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন লাভলি। 

স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, লাভলি খাতুনকে সরিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-প্রধানকে। তবে এ ব্যাপারে লাভলির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

আরো পড়ুন:

ভারতে ৭২ ঘণ্টা ধরে সুড়ঙ্গে আটকা ৮ শ্রমিক

স্যুটকেসে শাশুড়ির খণ্ডিত দেহ, নদীতে ভাসানোর আগে আটক

লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট আগেই বাতিল করা হয়েছিল। স্থানীয় জেলা প্রশাসন সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছে, লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট খারিজ হওয়ার পর লাভলির পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ যাওয়াটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা ছিল।

লাভলি খাতুনের পঞ্চায়েত সদস্যের পদ বাতিল করলেও তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা এখনও জানা যায়নি। 

এর আগে মালদহর রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সেখানকার এক পরাজিত প্রার্থী। সেই মামলায় মহকুমা শাসককে শুনানির পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। পরে গত ২৯ জানুয়ারি লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে প্রশাসন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না সিএসই

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত হতে পারছে না চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। তালিকাভুক্তি চেয়ে সিএসইর একটি আবেদন নাকচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৬৭তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ তাদের ব্লক থাকা ৩৫ শতাংশ শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ তালিকাভুক্ত করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। কয়েকটি কারণে তা না মঞ্জুর করেছে কমিশন।

কারণগুলো হলো-

ক) সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ব্যতীত অন্য কোনো কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে সরাসরি তালিকাভুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা থাকা।

খ) ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও ১৫ শতাংশ পাবলিক প্লেসমেন্ট এর মাধ্যমে অফলোড বা তালিকাভুক্ত এর বিষয়টি ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩’ এর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া।

গ) আবেদনকারীর মূল ব্যবসা হতে পরিচালন মুনাফা না থাকা।

ঘ) আবেদনের সঙ্গে ইনফরমেশন ডকুমেন্ট বা প্রসপেক্টাস সংযুক্ত না করা।

ঙ) পরিচালনা পর্ষদ সভা এবং শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের কপি সংযুক্ত না করা।

ঢাকা/এনটি/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ