মুরগির ঘরে মিলল নানি ও নাতি-নাতনির মরদেহ
Published: 17th, November 2025 GMT
খুলনা নগরীর লবণচরা থানাধীন একটি বাড়ির মুরগির ঘর থেকে নানি ও তার দুই নাতি-নাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিন্নাপাড়া মুক্তা কমিশনারের কালভার্ট এলাকার দরবেশ মোল্লার গলি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাছুম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
নাফাখুম ঝর্ণায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
নিজ বাসা থেকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
মারা যাওয়ারা হলেন- সাহিতুনন্নেছা (৬০) এবং তার নাতি মো.
দুই শিশুর মা রুবিয়া বেগম বলেন, “সকাল ৮টায় বাচ্চাদের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। দুপুরের পর ঘটনাটি ঘটতে পারে। আশেপাশে অন্য কোনো পরিবার নেই। কেন এবং কীভাবে হলো আমি বলতে পারছি না। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব।”
লবণচরা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাছুম বলেন, “নগরীর জিন্নাপাড়া মুক্তার কালভার্ট এলাকার বাসায় থাকতেন স্বামী সেফায়েত আহমেদ মুন ও তার স্ত্রী রুবিয়া বেগম। তারা চাকরিজীবী। সকালে তারা অফিসে যান। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে তারা দেখেন, ঘর বাইরে থেকে আটকানো। পরে ঘরে প্রবেশ করে তিনজনকে খুঁজতে শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে মুরগির ঘরে তিনজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেন।”
তিনি বলেন, “তাদের ভারি কোনো বস্তু দিযে আঘাত করে হত্যা করা হতে পারে। দেয়ালে রক্তের দাগ দেখা গেছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানা যাবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মুরগির ঘরের ভেতর থেকে নানি ও নাতি-নাতনির লাশ উদ্ধার
খুলনা নগরের লবণচরা থানা এলাকায় বসতবাড়ি থেকে নানিসহ দুই নাতি–নাতনির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাত আটটার দিকে স্থানীয় মুক্তা কমিশনার কালভার্টের দরবেশ গলি এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মহিদুন্নেছা (৫৫), তাঁর নাতি মোস্তাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহা (৬)। শিশু দুটি শেফার আহমেদ ও রুবি আক্তার দম্পতির সন্তান। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ধারণা, হত্যাকাণ্ডটি দুপুরে ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হুসাইন মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, শিশু দুটির মা–বাবার মধ্যে একজন রামপালে আরেকজন চেম্বার অব কমার্সে চাকরি করেন। সকালে তাঁরা সন্তান দুটিকে নানির কাছে রেখে কাজে বের হন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে কাউকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে মুরগির খামারের ভেতর তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি আরও বলেন, তিনজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ শক্ত হয়ে গেছে, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। সুরতহাল শেষে তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।