বাংলাদেশের সামনে ৬ কোটি টাকার হাতছানি
Published: 25th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে এরই মধ্যে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়লেও দুবাই ও পাকিস্তানে পারফরম্যান্সের ভরাডুবিতে সব ওলটপালট। ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসম্পর্ণ করেছেন নাজমুল অ্যান্ড কোং।
বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। যারা বাংলাদেশের মতোই দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। শেষ ম্যাচে দুই দলের লক্ষ্য অভিন্ন। অন্তত একটি জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করা। তাতে কিছুটা মুখরক্ষা হবে।
সেই লড়াইয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি মাঠে নামবে দুই দল। শুধু তো জয়-ই নয়, এই ম্যাচ জিততে পারলে পকেট ভারী হবার সম্ভাবনাও থাকবে।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টির পেটে অস্ট্রেলিয়া-দ.
সাহেলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সেমিফাইনালে ওয়ালটন
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে এরই মধ্যে দুই দল ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে পেয়েছে। কোনো জয় পায়নি বলে বাড়তি আয় হয়নি কারো। তবে শেষ ম্যাচে একটি জয় পেলে ৩৪ হাজার ডলারের হাতছানি দুই দলেরই। সঙ্গে আরো কিছুও আছে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসি জানিয়েছিল, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এবং সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দলের সামনেই তাই বিশাল অর্থের হাতছানি।
যদি পঞ্চম ও ষষ্ঠ হিসেবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করে তাহলে সব মিলিয়ে পাবে ৫ লাখ ৯ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার মতো। আর যদি সপ্তম ও অষ্টম দল হিসেবে শেষ কারে তাহলে পাবে ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার মতো।
শেষ ম্যাচে মর্যাদার লড়াইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রাপ্তিরও বড় সুযোগ বাংলাদেশের। অন্তত একটি জয় নিয়ে মান বাঁচাতে পারে কিনা বাংলাদেশ সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লঞ্চের ডেকে টাকা তুলছিলেন বিএনপির কর্মী, যাত্রীদের পিটুনি
বরিশালের হিজলায় ঢাকাগামী লঞ্চের ডেকে চাদর বিছিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগে এক বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দিয়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার বিএনপি কর্মীর নাম মো. খালেক মাঝি। তিনি হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
অভিযুক্ত খালেক মাঝি জানান, তিনি চাঁদাবাজি করতে যাননি। লঞ্চের অভ্যন্তরে গোলযোগ দেখে তিনি থামাতে যান। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ২ প্রতারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
নেশা ও জুয়ায় টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মুলাদীর মৃধার হাট থেকে ‘এম বি জানডা’ নামে একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি হিজলার হরিনাথপুরের শৌলা ঘাটে নোঙর করে। যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। আগে থেকে লঞ্চের ডেকে বিছিয়ে রাখা চাদরে বসা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা।
লঞ্চের ডেকে থাকা একাধিক যাত্রী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মারধর শুরু করেন খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা। এতে লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে লঞ্চে থাকা অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে খালেক মাঝি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনদের ধরে গণধোলাই দেন। পরে জনরোষ এড়াতে দলবল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন খালেক মাঝি।
লঞ্চে থাকা মেহেদী হাসান বান্না নামে এক যাত্রী মোবাইল ফোনে জানান, খালেক মাঝি নামে এক বিএনপি কর্মী ও তার সহযোগীরা লঞ্চের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় কিছু যাত্রীর ওপর হামলা করেন তারা। এক যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীরা এক জোট হয়ে ওই বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দেন।
হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিচ্ছেন। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহিদ জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। খোঁজ নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ