Risingbd:
2025-09-17@21:40:06 GMT

সড়ক দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রী নিহত

Published: 25th, February 2025 GMT

সড়ক দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রী নিহত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উপজেলার নাজিরহাটে সিএনজি ও টেম্পুর সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রী (২৩) নিহত হয়েছেন।

নিহত রেহানা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে নাজিরহাট এলাকার আজম সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৪টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকার আজম সড়কে চট্টগ্রামগামী টেম্পুর সঙ্গে বিবিরহাটগামী সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা তিনজন সড়কে ছিটকে পড়েন।

স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেহানা আক্তার তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে, আহতদের মধ্যে পারভেজ নামে এক যুবকের শরীর থেকে হাতের কব্জি আলাদা হয়ে যায়। তাকে উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) স্থানান্তর করা হয়। চমেকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া, সিএনজি যাত্রী অঞ্জনা দাস নামে এক নারী গুরুতর আহতাবস্থায় চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নিহত পারভেজ ও আহত অঞ্জনা দাসের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

চবির ফটিকছড়ি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, “আমাদের সহপাঠী তানিয়ার বাসা হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএনজিযোগে ফটিকছড়ির কামরাঙাপাড়ায় নানাবাড়ি যাচ্ছিলেন। নাজিরহাটের আজম সড়কে বিকাল ৪টার দিকে ওই সিএনজির সঙ্গে একটি টেম্পুর ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সিএনজিতে থাকা আরেকজন যুবকও মারা গেছে।”

রাত সাড়ে ১১টায় কামরাঙাপাড়া মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার এসআই শাহেদুল আলম জানান, টেম্পু ও সিএনজির সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুইটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালকরা পলাতক রয়েছে। পারিবারিক অনুরোধে পোস্টমর্টেম না করেই ওই ছাত্রীর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর