দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম মৃধা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের এক কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা বলেন, দুদকের পক্ষে এ আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন। 

আবেদনে বলা হয়েছে, মো.

নজরুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়ে নিজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎপূর্বক তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেন ও সরকারি অর্থ রূপান্তর বা স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করাসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা রাখা হয়েছে ও লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নজরুল ইসলাম ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ