Samakal:
2025-08-01@04:39:04 GMT

যদি ৩০০ হয় ...

Published: 27th, February 2025 GMT

যদি ৩০০ হয় ...

প্রশ্ন– কত রান নিরাপদ মনে করেন? ফিল সিমন্স– ‘তিনশ প্লাস রান তো করতেই হবে। পাকিস্তানে সাড়ে তিনশ রানও তো নিরাপদ থাকছে না।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনে দলের কাছে কোচের চাওয়া ছিল হাই স্কোর। অথচ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ম্যাচটি হয়ে গিয়েছিল লো স্কোরিং।

 স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচেও বড় স্কোর চাওয়া সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। তিনশ রানের আকাঙ্ক্ষা আছে। ওই রান হলে বোলাররা ম্যাচ জেতাতে পারবে বলে বিশ্বাস টিম ম্যানেজমেন্টের। সেদিক থেকে সমর্থকরাও মনে মনে ধরে নিতে পারেন, নাজমুল হোসেন শান্তরা তিনশ রান করলে নাহিদ রানারা জয় উপহার দিতে পারবেন। 

বাংলাদেশের দুঃখ আইসিসির টুর্নামেন্ট। ওয়ানডে বা টি২০ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারে না। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলায় একটা আশার জায়গা তৈরি হয়েছিল। ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজিমাত করার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটারদের চোখেমুখে। এ কারণেই হয়তো অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে খেলবেন। টানা দুই ম্যাচে বাজে ক্রিকেট খেলার পরও অধিনায়কের পক্ষে ঢাল ধরলেন সালাউদ্দিন। 

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সামর্থ্য না থাকলে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতাম না। বিশ্বের সেরা আটটি দল এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা আসতে পারেনি। যদি এখানে অংশগ্রহণ করতে আসি, তাহলে আসার দরকার নেই। একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমরা পারফর্ম করতে পারিনি, কথাগুলো তাই শুনতেই হবে।’ 

এবার কেন পারল না বাংলাদেশ– সেই ব্যাখ্যাও দিলেন কোচ, ‘প্রস্তুতি একটা বড় ব্যাপার। আমরা বিপিএল খেলে চলে এসেছি। ভারত ও ইংল্যান্ড প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি খেলোয়াড়দের হাতে না। আমাদের ম্যানেজমেন্টকে দেখতে হবে। আমরা চাইলে ১৫ দিন আগে বিপিএল শেষ করতে পারতাম। সামনে এগুলো ভেবে দেখতে হবে।’ 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সমস্যা চিহ্নিত করতে গিয়ে ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটার ও বোলারদের দুর্বলতা তুলে এনেছেন। সমকালকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল যতদিন না মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাটিং করতে পারবে, লং ইনিংস খেলবে, উইকেট কম হারাবে, ততদিন বড় ইনিংস করতে পারবে না। তেমনি মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট টেকিং বোলার লাগবে। যে কাজটি এবাদ হোসেন করতে পারত।’ 

বাংলাদেশের লো স্কোর করার কারণ হলো, ব্যাটারদের ডট খেলা। ভারতের বিপক্ষে ১৫৯টি আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৫টি ডট বল খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। যদিও ডট বল বেশি খেলা দলের ব্যর্থতার কারণ মনে করেন না সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আরও বেশি ডট বল খেললেও কিছু মনে করতাম না। কারণ, রান রেট ভালো ছিল। ২০ ওভার ৯৭ রান ছিল। মাঝে উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমাদের ক্যারি করা সম্ভব হয়নি। উইকেট থাকলে হয়তো তিনশ রান হয়ে যেত।’ 

পাকিস্তানের বিপক্ষে সামর্থ্য মাথায় রেখে একাদশ সাজাতে চান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি টুর্নামেন্ট খেলছি।  এখানে সুযোগ দেওয়ার চেয়েও সুযোগ করে নেওয়া জরুরি। যাদের নিলে আমরা জিততে পারব, তারাই খেলবে।’ যদিও আগের ম্যাচের দল নিয়েই খেলার সম্ভাবনা বেশি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ