বিজয়ের পর তাঁদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়, অভিযোগ আলেম সমাজের
Published: 1st, March 2025 GMT
বাংলাদেশের প্রতিটি গণ–আন্দোলনে যখন নৈতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়, তখন আলেম সমাজ সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবারই বিজয়ের পর তাঁদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। ’২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানেও একই চিত্র দেখা যায়। রাষ্ট্র সংস্কারে আলেম সমাজকে একটি মহল উপেক্ষিত করে রাখে, এবার সেই অন্যায় আর হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাধারণ আলেম সমাজ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো উঠে আসে। সভার শিরোনাম ছিল ‘১৩ থেকে ২৪ ফ্যাসিবাদের পতনে আলেম সমাজের রাজনৈতিক অবদান’।
সভায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ শোষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অধ্যায়। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ’২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের দমন–পীড়ন, জেল-জুলুম, নির্যাতন এবং সর্বশেষ ’২৪–এর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
আলোচকেরা আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকলেও সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবমাননা করলে যেমন রাষ্ট্রদ্রোহের শাস্তি হয়, তেমনি রাষ্ট্রধর্ম অবমাননা করলেও রাষ্ট্রদ্রোহের আওতায় আনতে হবে।
আলেম সমাজের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রিদওয়ান হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ আলেম সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য জাবির মুহাম্মদ হাবীব। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”
জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”
ঢাকা/শাহেদ