বাংলাদেশের প্রতিটি গণ–আন্দোলনে যখন নৈতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়, তখন আলেম সমাজ সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবারই বিজয়ের পর তাঁদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। ’২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানেও একই চিত্র দেখা যায়। রাষ্ট্র সংস্কারে আলেম সমাজকে একটি মহল উপেক্ষিত করে রাখে, এবার সেই অন্যায় আর হতে দেওয়া হবে না।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাধারণ আলেম সমাজ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো উঠে আসে। সভার শিরোনাম ছিল ‘১৩ থেকে ২৪ ফ্যাসিবাদের পতনে আলেম সমাজের রাজনৈতিক অবদান’।

সভায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ শোষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অধ্যায়। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ’২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের দমন–পীড়ন, জেল-জুলুম, নির্যাতন এবং সর্বশেষ ’২৪–এর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

আলোচকেরা আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকলেও সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবমাননা করলে যেমন রাষ্ট্রদ্রোহের শাস্তি হয়, তেমনি রাষ্ট্রধর্ম অবমাননা করলেও রাষ্ট্রদ্রোহের আওতায় আনতে হবে।

আলেম সমাজের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রিদওয়ান হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ আলেম সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য জাবির মুহাম্মদ হাবীব। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মো.

নিজাম উদ্দীন, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, মাহিন সরকার, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, রাষ্ট্রচিন্তক আলেম মুসা আল হাফিজ, মোহাইমিন পাটোয়ারী, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাহিদ আহসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বরে ভুগছেন মিরাজ, গলে প্রথম টেস্টে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের পূর্ণাঙ্গ সফর। আগামী মঙ্গলবার গলে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ম্যাচের আগে আজ রোববার প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নামে বাংলাদেশ দল। মাঠে দেখা গেছে শান্ত, মুশফিক, নাহিদ রানা, জাকের আলিসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে।

তবে অনুশীলনে ছিলেন না সদ্য ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় এদিন বিশ্রামে ছিলেন তিনি।

দিন শেষে অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমে টাইগারদের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন মিরাজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে। সিমন্স বলেন, 'হ্যাঁ, মিরাজ জ্বরে ভুগছে। তবে আজ সকালেই তাকে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো দেখেছি। চিকিৎসা চলছে। আশা করি আগামীকাল সে অনুশীলনে ফিরতে পারবে।'

তবে মিরাজের না থাকা দলের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও জানান কোচ। তার ভাষ্য, 'মিরাজকে নিয়ে আমাদের কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে। তবে কারও না থাকা মানেই অন্য কারও জন্য সুযোগ তৈরি হওয়া। আমরা সবাই চাই সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। তবে যদি খেলতে না পারে, তাহলে দলে পরিবর্তন আনতে হবে। এটাই বাস্তবতা।'

সম্পর্কিত নিবন্ধ