অস্ট্রেলিয়া দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে শুক্রবার। আর দক্ষিণ আফ্রিকার নিশ্চিত হয়েছে শনিবার। দুই দলই এখন পাকিস্তান ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলে গেছে। অথচ সেখানে সেমিফাইনাল খেলতে পারবে একটি দল। আরেকটি দল দুবাই ঘুরে না খেলেই আবার পাকিস্তানেই ফিরে আসবে।

খেলা এক দলের হলেও অন্য দলটিকে দুবাইয়ে আসা-যাওয়া করা লাগছে ভারতের কারণে। গ্রুপ পর্বে ভারতের অবস্থান যেমনই হোক, রোহিত শর্মারা তাদের সেমিফাইনাল খেলবেন দুবাইয়ে। আর তাদের এক জায়গায় অবস্থান নিশ্চিত করতে গিয়েই অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি দলকে খেলা বাদেই ২ হাজার কিলোমিটার বিমানপথ যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হলেও দেশটিতে দল পাঠাতে রাজি হয়নি ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সংস্থাটি আইসিসিকে জানিয়েছে, ভারত সরকার পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠানোর অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে অচলাবস্থার একপর্যায়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের সমঝোতা হয়। এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলার সুযোগ পায়।

অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দল পাকিস্তানে গেলেও ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য তাদের দুবাইয়ে যেতে হয়েছে।

মোট দুটি গ্রুপে খেলা হচ্ছে এবার। ‘এ’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তবে গ্রুপে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি বাকি আছে। এই ম্যাচেই চূড়ান্ত হবে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন ও গ্রুপ-রানার্সআপ কে হচ্ছে। গ্রুপে অবস্থান চূড়ান্তের সেই ম্যাচটি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আজ।

নিয়ম অনুযায়ী সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ, আর ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। এরই মধ্যে ‘বি’ গ্রুপের সব ম্যাচ শেষ। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা দক্ষিণ আফ্রিকা, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া।

এখন ভারত যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রেলিয়া, আর হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হলে প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টুর্নামেন্টের যে সূচি, তাতে দুবাইয়ে ভারতের সেমিফাইনাল রাখা হয়েছে ৪ মার্চ। অর্থাৎ, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর মাঝে বিরতি মাত্র এক দিন। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা যদি সেমিফাইনালের ভেন্যু নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করত, সে ক্ষেত্রে আজ রাতে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের ফল দেখে তড়িঘড়ি বিমানে চড়তে হতো এক দলকে। আর দুবাইয়ে পৌঁছে সেমিফাইনালের প্রস্তুতির জন্য সময় পেত মাত্র এক দিন। যে দুবাইয়ে এবারের আসরে দল দুটি এখন পর্যন্ত খেলেনি।

ভারতের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে প্রস্তুতির সুযোগ বাড়িয়ে দিতেই অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলকেই আগেভাগে দুবাইয়ে উড়িয়ে নিয়েছে আইসিসি। আজ রোহিত শর্মারা নিউজিল্যান্ডকে হারালে অস্ট্রেলিয়া দুবাইয়েই থেকে যাবে, আর দক্ষিণ আফ্রিকা এক বেলা অনুশীলন করেই চলে যাবে লাহোরে। সঙ্গে যাবে ৫ তারিখ সেখানে হতে যাওয়া সেমিফাইনালের আরেক দল নিউজিল্যান্ডও। আবার রোহিতরা কিউইদের কাছে হারলে দক্ষিণ আফ্রিকাই দুবাইয়ে থেকে যাবে, অস্ট্রেলিয়া লাহোরে ফিরবে কিউইদের বিপক্ষে খেলার জন্য।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা—যে কোনো একটি দলের জন্য দুবাইয়ে যাওয়া-আসা হবে শুধু অনুশীলনের জন্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র র ন র সআপ অবস থ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ