চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় একা পেয়ে পতেঙ্গা থানার এস আই ইউসুফ আলীর উপর হামলার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২ মার্চ) ভোর রাতে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন একটি আবাসন কোম্পানির প্রকল্প এলাকার ঝুপড়ি ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃরা হলেন- গনপতি (৫৭), হামিদুর রহমান (৩০), রোহান (২০), আরিফ প্রমাণিক (৩৫), রাব্বি (৩৫), শুভ (১৯), জীবন (২৬), রুমেল (৩০), রেজাউল করিম (৪৫) ও সিয়াম শেখ (১৮)।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এস আই মো.

ইমরান হোসেন জানান, গত শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা মডেল থানার এসআই ইউসুফ আলী সংগীয় ফোর্সসহ পতেঙ্গা সি বিচ সংলগ্ন আউটার রিং রোডে চেকপোস্ট ডিউটি করছিলেন। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর একটি খবর পেয়ে সংগীয় ফোর্স ইউসুফ আলীর টিমের গাড়িটি ইউটার্ন হয়ে আসার জন্য গেলে তিনি একা অবস্থান করে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ তাফসির (২২) নামের দুই ছিনতাইকারী এসে তাকে ভুয়া পুলিশ বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় এসআই ইউসুফ আলী নিজের পরিচয় দিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে ভুয়া পুলিশ বলে আরও দুস্কৃতিকারীকে জড়ো করে। এরমধ্যে সি বিচ এলাকায় টহলরত পুলিশের টিম এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সহায়তায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটককৃত ছিনতাইকারী সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ তাফসির ইমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পুলিশের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। 

আটককৃতদের নিয়ে পুলিশ রবিবার ভোর রাতের দিকে পতেঙ্গায় একটি আবাসন কোম্পানির প্রকল্পের ভেতর ঝুপড়ি ঘরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।                                               

ঢাকা/রেজাউল/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি কর্মী কুদরত আলীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে এস এম তানভীর আরাফাতকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয়। এরপর দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ১টা ৫১ মিনিটে আদালত থেকে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে আছেন। 

আরো পড়ুন:

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ‘শুটার’ মান্নান নিহত

উপপুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকে নানা কর্মকান্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি, তখন এ সব কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বিভাগীয় শাস্তিও পেতে হয়। 

নিহত বিএনপি কর্মী কুদরত আলীর ছেলে বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, কুদরত আলী বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি দলের সঙ্গে আছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু সুবিধাভোগী পুলিশ সদস্য কুদরত আলীকে মিথ্যা মামলায় আটক ও হত্যার পরিকল্পনা করে। এই ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আহমেদসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা কুদরত আলীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই রাত ২টার দিকে ১০-১২ জন পুলিশ কুদরত আলীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ২৫ জুলাই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দুটি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

বাদী মামলায় দাবি করেন, কুদরত আলীকে গুম করে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যায়।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, দৌলতপুর থানার একটি মামলায় এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। 

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি এস এম তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনে এসআইদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
  • রাজশাহীতে যুবদল–ছাত্রদলের চাঁদাবাজির মামলার এজাহার ফাঁস, এসআইকে বদলি
  • রূপগঞ্জে দাফনের এক বছর পর যুবকের মরদেহ উত্তোলন
  • কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার