ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শুরুতে দল পাননি জাতীয় দলের তারকা টপ অর্ডার ব্যাটার লিটন দাস। জানা গিয়েছিল, ম্যাচ প্রতি ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা সম্মানী চাওয়ায় তাকে দলে নেইনি কেউ। ওই লিটনকে টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে দলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। 

বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও আসন্ন ডিপিএলে মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘লিটন দল পেয়েছে। সে গুলশান ক্লাবে খেলবে।’

চলতি মৌসুমে ডিপিএলে প্রোমোশন পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তামিম ইকবাল ক্লাবটির নির্বাহীর পদে আছেন। তিনি দলটির জন্য স্পন্সরশিপের ব্যবস্থাসহ কিছু কাজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। এবারের ডিপিএল শুরু হবে মোহামেডান ও গুলশান ক্লাবের ম্যাচ দিয়ে। যার একটির অধিনায়ক তামিম, অন্যটির নির্বাহী তিনি। 

লিটন দাস ডিপিএলে গত মৌসুমে আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু এবার তিনি ওই ক্লাবে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। দলবদলের সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা ক্লাবগুলোর কাছে মোটা  অঙ্কের পারিশ্রমিক চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তখন এক ক্রিকেটার সমকালকে জানান, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এত টাকা দিয়ে কোনো ক্লাব লিটনকে নিতে রাজি হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ