ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে উপজেলা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যোর বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকাল ৯ টায় আরিফুজ্জামান সরকারি পাইলট স্কুল মাঠ প্রঙ্গণে বাজার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল।

নায্যমূল্যের বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১৭০ লিটার, প্যাকেট চিনি ১২০ টাকা, ছোলা ৯৩ টাকা কেজি ও খেজুর ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। প্রথম দিনে প্রায় ৩০০ ক্রেতা সকাল ১১ টার মধ্যে পণ্য ক্রয় করেন।

বাজার উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমান, আলফাডাঙ্গা সককারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আজাদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ হারুর অর রশীদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.

ভবেন বাইন, উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম ও উপজেলা কৃষি অফিসার তুষার সাহা প্রমুখ।

পৌরসভার বাঁকাইল গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক খোকন মিয়া জানান, বাহিরে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬৫০ টাকায় ভালো মানের গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। মাইকিং করা হয়েছে তাই এসেছি, এসে গরুর মাংসের পাশাপাশি তেলসহ অন্য পণ্য ক্রয় করেছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।
 
মাংস কিনতে আসা মিঠাপুর গ্রামের দিনমজুর মানিক মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, গরুর মাংসসহ সবগুলো পণ্য ক্রয় করেছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ন্যায্যমূল্যোর বাজার দেওয়ার জন্য। যদি সারা রমজানজুড়ে এ বাজার চলে তাহলে আমার মতো অনেকের জন্য সুবিধা হবে। তিনি প্রশাসনের কাছে রজমানজুড়ে এ বাজার চালুর অনুরোধ জানান।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে ন্যায্যমূল্যোর দোকান চালু করা হয়েছে। সাধারণ ক্রেতার কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এ বাজার চালু রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ