আরেকটি আইসিসি টুর্নামেন্ট, পাকিস্তানের আরেকটি ব্যর্থতা। এরপর যা হওয়ার কথা সেটাই হচ্ছে; পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, দলটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও অধিনায়কের দিকে ছুটে যাচ্ছে সমালোচনার তীব্র তির! চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দলটির সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ দুষছেন ক্রিকেট বোর্ডকে, কেউ কোচ আকিব জাভেদকে বদলানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন, কেউ আবার দায় দিচ্ছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।

পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরই যেমন পাকিস্তানের ভরাডুবির পেছনে রিজওয়ানের নেতৃত্বের সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন। বাবর আজমকে সরিয়ে গত বছরের অক্টোবরে সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেওয়া হয় রিজওয়ানকে। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। তবে টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেও সিরিজ হেরেছে তারা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।

পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ