অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 4th, March 2025 GMT
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের শিংপুর গ্রামের এহসানুল হক মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী লিজা আক্তার (২০)ও একই উপজেলার লেংগুরার তারানগর গ্রামের মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আঠারো মাস আগে লিজার আক্তারের সঙ্গে এহসানুল হক মিলনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কলমাকান্দা মধ্য বাজারে থাকতেন তারা। আজ দুপুরের দিকে পরিবারের লোকজন লিজা আক্তারের সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে দেখতে পায়।
অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা নুরুন্নাহার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সেহরির জন্য নুরুন্নাহারের শাশুড়ি ডাক দিলে তার স্বামী ঘুম থেকে উঠেন। বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারে তথ্য নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলম ক ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’
গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।
বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’
মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজএদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’
সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স