অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে সি আর আবরারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো.

শেখ আবদুর রশীদ।

সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন। বর্তমানে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, তাঁরা আশা করছেন, সি আর আবরার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই একই সঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছিলেন না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনেক বড় মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখতে হচ্ছে। সে জন্য সি আর আবরার উপদেষ্টা পরিষদে আসছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। কয়েক দফায় নতুন কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র ন উপদ ষ ট আর আবর র মন ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ