জিমে না গিয়েও তাঁরা কীভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান মানুষ
Published: 6th, March 2025 GMT
পৃথিবীর যে অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি রোগবালাই কম হয় এবং যাঁদের গড় আয়ু অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে বেশি, সেসব অঞ্চলকে বলা হয় ব্লু জোন। জাপান, ইতালি, গ্রিস, কোস্টারিকা ও যুক্তরাষ্ট্র—এসব দেশের কিছু অংশ পড়ছে এই ব্লু জোনে। বুঝতেই পারছেন, সেখানে সুস্থ অবস্থাতেই বার্ধক্যে পৌঁছান অধিকাংশ মানুষ। আর ৯০ পেরোনো মানুষের সংখ্যাও সেখানে অনেক বেশি। তবে এই সুস্থতার জন্য তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান না; বরং তাঁদের গোটা জীবনধারাই স্বাস্থ্যকর।
শরীরচর্চা জীবনেরই অংশএসব এলাকার মানুষ কর্মমুখর জীবনযাপন করেন। হাঁটাচলা, বাগান করা কিংবা ঘরের কাজ করার মাধ্যমেই তাঁদের কায়িক শ্রম হতে থাকে দিনভর। এক গবেষণার ফলাফল বলছে, যিনি যত বেশি দূরত্ব হাঁটেন কিংবা যত বেশি সিঁড়ি ভেঙে ওঠেন, তাঁর আয়ু তত বেশি হয়। দিনভর বসে কাজ করার চেয়ে হাঁটাচলা এবং অন্যান্য কায়িক শ্রম যে শরীরের জন্য বেশি প্রয়োজন, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এ থেকে।
কায়িক শ্রম করলে ক্যানসার কিংবা হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি