সেতুর রড চুরির অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩ নেতা বহিষ্কার
Published: 6th, March 2025 GMT
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সেতুর ছাউনি ভেঙে রড চুরির অভিযোগে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৩ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের ওই বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা নেতারা হলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন, মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক মো.
বহিষ্কার আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ও নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের তিন জনকে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ-পদবী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারী গ্রামের রিপন শিকদার বাড়ির সামনের লোহার সেতুর ছাউনির ঢালাই ভেঙে তাতে থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লোহার রড চুরি করে নেন অভিযুক্তরা।
এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাদের হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হেকমত তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/তাওহিদুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?